ফৌজদারি অভিযোগ গঠন করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের আদালত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার চেষ্টায় সহায়তা না দেয়ার ঘোষণা করেছেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস। দলীয় সমর্থন চেয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে একের পর এক অস্বস্তিকর ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পুরানো কেলেঙ্কারীতে হয়েছেন ফৌজদারি মামলার আসামি। ইতিহাসে তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে এমন অবস্থান নিলো আদালত। অভিযোগ অস্বীকার করে একে ক্ষমতাসীন দলের চক্রান্ত বলেছেন তিনি। নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ-এ দেয়া বিবৃতিতে সমর্থন চেয়েছেন দল এবং সমর্থকদের।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে একান্ত সম্পর্ক এবং ঘনিষ্টতার বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে অক্টোবর মাসে এই অপকর্ম ঘটান। অস্বস্তিকর এই তথ্য ধামাচাপা দিতে সহায়তা করেন তার তৎকালিন আইনজীবী মাইকেল কোহেন।
ট্রাম্পের আহ্বানে প্রতিবাদ আর সমালোচনায় সরব হয়েছেন রিপাবলিকান নেতারা। কারো কারো মতে, প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘায়েল করতে তৃতীয় বিশ্বের রাজনৈতিক কূটকৌশলের ওপর ভর করেছেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটরা। হাউজ স্পিকার ক্যাভিন ম্যাকার্থী বলেছেন, এই অবিচার সহ্য করবে না মার্কিনীরা। প্রশ্ন উঠেছে- ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়ায় আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্প কি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন?
আইনি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শুধু ফৌজদারি অভিযোগ নয়, পলাতক থাকলেও সংবিধান অনুযায়ী এই মামলায় ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন ট্রাম্প।
তারা বলেন, ‘অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন কি না সে বিষয়ে সংবিধানে স্পষ্ট কোন নির্দশনা নেই। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নিজস্ব আইন থাকায় সে অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।’
আঙুলের ছাপ দেয়া, ছবি তোলাসহ বিচারপ্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা সারতে ট্রাম্পকে শিগগিরই ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে যেতে হবে। আদালতের নির্দেশে সাড়া না দিলে ফ্লোরিডা নিবাসী ট্রাম্পকে আটক করা হতে পারে। এক্ষেত্রে কোনো সহায়তা দেয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আসন্ন নির্বাচনে দলের ভেতরে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস। বহু অঘটনের নজির গড়া ট্রাম্পই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে দুইবার অভিশংসন প্রস্তাব উঠেছে পার্লামেন্টে।
সূত্রঃ রয়টার্স। ফাইল ছবি