কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ১৮টি ফার্মা কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে ও তাদের ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ২৬টি ফার্মা কোম্পানিকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।
ফার্মা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাম্প্রতিক ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসেবে ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল ২০টি রাজ্যের ৭৬টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি পরিদর্শন করেছে। প্রায় ১৫ দিন ধরে চলে এই ক্যাম্পেইন। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতীয় ওষুধ সেবনের কারণে মৃত্যু এবং অসুস্থতার ঘটনা ঘটায় ভারতের ওষুধ শিল্পের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এ ধরনের কঠোর ভূমিকা নিয়েছে।
গত মাসেও গুজরাটভিত্তিক ফার্মা কোম্পানি জাইডাস লাইফ সায়েন্সেস যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে বাত ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের ৫৫ হাজার বোতল সরিয়ে নিয়েছে। গত বছর ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কাশির সিরাপের ওষুধ খেয়ে উজবেকিস্তানে ১৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠায় দিল্লির কাছেই ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্মের তিনজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে ভেজাল ওষুধ তৈরি এবং বিক্রির অভিযোগ আছে।
কেন্দ্রীয় এবং উত্তরপ্রদেশের ওষুধ কর্তৃপক্ষ মেরিয়ন বায়োটেক পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করেছে, এর মধ্যে ২২টি ওষুধে ভেজাল পেয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও চেন্নাইভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিকে চোখের ড্রপের একটি লাইনের উৎপাদন স্থগিত করতে হয়েছিল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তাদের ওষুধে ড্রাগ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দিতে পারে।
সূত্রঃ এনডিটিভি। ছবিঃ প্রতীকী।