দেশজুড়ে লাগাতার প্রতিবাদ ক্রমেই সহিংস হয়ে উঠছে ফ্রান্সে পেনশন পদ্ধতিতে আনা পরিবর্তনের বিরুদ্ধে। রাজধানী প্যারিসসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শহরে মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ফুটেজে দেখা যায়, রাজধানীতে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে আতশবাজি ছুড়ছে।
পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করছে।
ইউনিয়ন নেতারা ফ্রান্সে আইনি অবসরের বয়স ৬২ থেকে ৬৪-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে ফের অনুরোধ করেছেন।
গণবিক্ষোভ এবং ধর্মঘটের দশম দিনে ফ্রান্সজুড়ে অন্তত ১৩ হাজার পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, পেনশন সংস্কার নিয়ে বিক্ষোভ চলাকালে রাজধানী প্যারিস থেকে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলছেন, বিপুল পুলিশ মোতায়েন ফ্রান্সের জন্য রেকর্ড হলেও জনশৃঙ্খলার স্বার্থে এই পদক্ষেপ ন্যায়সঙ্গত।
আগে ধর্মঘটকারী রেলকর্মীরা রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশন গারে দে লিয়নে অবস্থান নিয়েছিল। ইউনিয়ন নেতারা বলছেন, অন্তত ৫ লাখ বিক্ষোভকারী প্যারিসের রাস্তায় নেমেছেন, যখন সিটির পুলিশ বাহিনী বলছে, সংখ্যাটা ৯৩ হাজারের কাছাকাছি।
ফ্রান্সের এই বিক্ষোভ বড় হচ্ছে। মঙ্গলবার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রুয়েন ও নান্টেসেও সংঘর্ষ হয়েছে। একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রেনেসসহ অন্যান্য শহরে বিক্ষোভকারীরা যান চলাচন বন্ধ করে দিয়েছে। লিয়ন ও বোর্দোসহ অন্যান্য অনেক বড় শহরেও বিক্ষোভ হচ্ছে।
মোটরওয়ে অবরোধ করে রাখায় গণপরিবহন ব্যবস্থা একেবারে নাজেহাল। নিরাপত্তা বিবেচনায় ফ্রান্স সফর স্থগিত করেছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস।
বিশেষ সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোট ছাড়াই আইন প্রণয়ন করতে সরকার বাধ্য করায় বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ।
সূত্রঃ টিআরটি ওয়ার্ল্ড। ছবিঃ সংগৃহীত।