পরবর্তী প্রজন্মের পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনের একটি বহর তৈরির পরিকল্পনার বিস্তারিত প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার নেতারা। ১৮ মাস আগে এ বিষয়ে প্রথম আলোচনা শুরু হয়। তিন দেশের মধ্যকার এ চুক্তির নাম ‘অকাস’ (এইউকেইউএস) চুক্তি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, এ চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের কাছ থেকে মোট পাঁচটি পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন কিনবে অস্ট্রেলিয়া।
চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তিনটি সাবমেরিন কিনবে অস্ট্রেলিয়া। যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে আরও দু’টি সাবমেরিন কেনার সুযোগ থাকবে। ব্রিটেনের রোলস-রয়েসের উদ্ভাবিত পারমাণবিক চুল্লিসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন এসব সাবমেরিন তৈরির জন্য একসঙ্গে কাজ করছে দেশগুলো।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবেলার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোতে সোমবার ব্রিটিশ এবং অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
অকাস চুক্তির অধীনে এসব সাবমেরিন কিভাবে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে হয় সেই প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জনের জন্য মার্কিন ও ব্রিটিশ সাবমেরিন ঘাঁটিগুলোতে প্রশিক্ষণ নেবে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া ২০৩০ এর প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে ভার্জিনিয়া-ক্লাসের তিনটি সাবমেরিন পাবে। তার আগে ২০২৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার পার্থে আরএএন ঘাঁটিতে ছোট একটি পারমাণবিক সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য।
অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ফ্রান্সের কাছ থেকে ছয় হাজার ছয়শ’ কোটি ডলার ব্যয়ে আটটি সাবমেরিন কিনতে চেয়েছিল। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ২০২১ সালে সে চুক্তি বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। পরে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে নতুন চুক্তি করে।
ছবিঃ সংগৃহীত