শেষ পর্যন্ত আইএস বধূ শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে ব্রিটেন। বুধবার যুক্তরাজ্যের বিশেষ অভিবাসন আপিল কমিশন (সিয়াক) শামীমার দাবি নাকচ করে দেয়। গত বছরের নভেম্বর মাসে পাঁচ দিন এ বিষয়ে আপিলের ওপর শুনানি হয়।
২০১৯ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি ইস্যুতে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। এরপরই নাগরিকত্ব বাতিলের মামলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি চেয়ে গত বছর ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন শামীমার আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা শামীমার ওই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারক জে বলেন, তার আপিল সেমি-সিক্রেট কোর্ট থেকে খারিজ করে দেয়া হয়েছে। এর মানে দাঁড়ায়, ২৩ বছর বয়সী শামীমা উত্তর সিরিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন না।
২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে দুই বান্ধবীসহ সিরিয়ায় পালিয়ে যায় শামীমা। তারা জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগ দিতে ব্রিটেন ছেড়ে সিরিয়া গিয়েছিলেন। আইএসের এক সদস্যকে বিয়ে করেন শামীমা। এরপর তিন সন্তানের জন্ম দেন, সবাই মারা গেছে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আল-হওর শরণার্থী শিবিরে শামীমার দেখা পান এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। সাক্ষাৎকারে শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার আকুতি জানান। শামীমা সে সময় ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোর শিরোনাম হন।
শামীমা যুক্তরাজ্যে ফেরার ইচ্ছে পোষণ করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন। ফলে, যুক্তরাজ্যে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যায় শামীমার। তারপর থেকেই ব্রিটিশ নাগরিকত্ব টিকিয়ে রাখতে আইনি লড়াই শুরু করেন শামীমা। একের পর এক মামলায় হেরে গিয়েছেন। ফলে রাষ্ট্রহীন হয়ে সিরিয়ার কুর্দিদের পরিচালিত আল-হওর শিবিরেই আটকা পড়েন তিনি।
সূত্রঃ রয়টার্স, সিএনএন। ফাইল ছবি