যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে রহস্যজনক বেলুন নিয়ে। একটি মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় ভারত এবং জাপান সহ একাধিক দেশে নজর রাখছিল চীনা বেলুন। যুক্তরাষ্ট্রে আকাশে বেলুনটিকে উড়তে দেখা গেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ভারত এবং জাপান সহ বন্ধু দেশগুলোকে চীনের নজরদারি বেলুন সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যান সোমবার ৪০টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের চীনা বেলুনের গতিবিধি সম্পর্কে জানান।
তিনি বলেন, একাধিক দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিশেষ করে প্রতিরক্ষার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় আকাশ থেকে নজরদারি এবং গোপন তথ্য সংগ্রহ করছিল চীনের বেলুনটি।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের দক্ষিণ উপকূলের হাইনান প্রদেশ থেকেই বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে নজরদারি করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে দেশগুলোর কৌশলীগত সম্পর্ক রয়েছে, যেমন জাপান, ভারত, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান এবং ফিলিপাইন, এমন বিভিন্ন দেশের মিলিটারি অস্ত্র-শস্ত্র সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। বিভিন্ন প্রতিরক্ষা এবং গোয়েন্দা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত শনিবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চীনা বেলুন ভুপাতিত মার্কিন সেনাবাহিনী। বেলুন ধ্বংসের খবর প্রচারের পাশাপাশি জানানো হয়েছিল, দক্ষিণ ক্য়ারোলিনার উপকূলবর্তী আটলান্টিক মহাসাগরের উপরে পড়েছে বেলুনটি। উদ্ধার করার জন্য দক্ষ ডুবুরি এবং নৌকা পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার অবশেষে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে উদ্ধার করা হল চীনা বেলুনের ধ্বংসাবশেষ। জলের নিচ থেকে তোলা বেলুনের ধ্বংসাবশেষের ছবিও প্রকাশ করেছে মার্কিন নৌবাহিনী।
মঙ্গলবার মার্কিন নৌবাহিনীরি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ধ্বংস করা বেলুনটির অংশাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় মাঝামাঝি অংশে ভাসছিল বেলুনটির কিছু অংশ। বেলুনটি প্রায় ২০০ ফুট লম্বা ছিল। বেলুনটির ওজন প্রায় ১০০০ পাউন্ড।
পেন্টাগনের একটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বেলুনের ধ্বংসাবশেষ খুঁজতে কিংফিশ এবং সোর্ডফিশ নামে দুটি ড্রোন পাঠিয়েছিল মার্কিন নৌবাহিনী। ড্রোনের মাধ্যমেই চিহ্নিত করা হয় বেলুনটিকে।
ছবিঃ সংগৃহীত