প্রাক্তন চ্যান্সেলর জার্মানির আঙ্গেলা ম্যার্কেল ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন। ২০১৫ সালে শরণার্থীদের জন্য উদার নীতিমালা প্রণয়নের কারণে তাকে এই সম্মাননা।
বুধবার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্টের রাজধানী ইয়ামোসুক্রোয় এই পুরস্কার নেবেন। ইউনেস্কোর সহায়তায় আইভরি কোস্টের ফেলিক্স হুফেত বোনি ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার দিচ্ছে। কয়েকটি আফ্রিকান দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
‘ফেলিক্স হুফেত বোনি পুরস্কার ২০২২’-এর বিজয়ী হিসেবে এক লাখ ৪০ হাজার ইউরো, একটি স্বর্ণপদক এবং ইউনেস্কোর মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত একটি সনদপত্র পাবেন ম্যার্কেল।
২০১৮ সালে শান্তিতে নোবেল জয়ী ও ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কারের জুরি বোর্ডের সদস্য ডেনিস মুকওয়েগে বলেন, ২০১৫ সালে সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান এবং ইরিত্রিয়ার প্রায় ১২ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার যে সাহসী সিদ্ধান্ত আঙ্গেলা ম্যার্কেল নিয়েছিলেন, তা জুরি বোর্ডের সব সদস্যেরই মন ছুঁয়েছেন। তিনি ঐতিহাসিক এবং অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
২০১৫ সালে শরণার্থীদের জন্য জার্মানির দরজা খুলে দেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ‘আমরা পারবো’ তার এই স্লোগান প্রশংসা এবং সমালোচনা দুটোই শুনতে হয়েছিলো।
আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রশংসা করে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজৌলে বলেছেন, তার প্রচেষ্টা শান্তি আনার পাশাপাশি দুর্ভোগের শিকার মানুষের জন্য সুযোগ খুলে দিয়েছে। অভিবাসী এবং শরণার্থীদের প্রতি আমাদের আরচণ কেমন হওয়া উচিত এই পুরস্কার দেয়ার ব্যাপারে জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত আমাদের তাই নির্দেশ করছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে ফেলিক্স হুফেত বোনি শান্তি পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। মানবাধিকার ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেয়া হয়। ১৯৯১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের কারণে নেলসন ম্যান্ডেলা এবং ফ্রেডেরিক উইলেম ডি ক্লার্ককে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার দেয়া হয়েছিলো।
সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে। ছবিঃ সংগৃহীত