মোকাবিলা করছে ইউক্রেন, রাশিয়ার জোরালো হামলার। এই সংকটের পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সরানো হবে পরিকল্পনা চলছে। বড় হামলার আগে সেই কাজ সেরে ফেলতে পারেন জেলেনস্কি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলার বর্যপূর্তির সময় আরও বড় সামরিক অভিযানের আশঙ্কা করছে ইউক্রেন। আগে সেনাবাহিনীকে যথেষ্ট প্রস্তুত করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে রদবদলের সম্ভাবনা বাড়ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির রাজনৈতিক জোটের প্রধান ডেভিড আরখামিয়া জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভকে সরিয়ে সেই পদে আনা হচ্ছে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘জিইউআর’-এর প্রধান কিরিলো বুদানভকে।
ইউক্রেনের সংসদীয় কমিটির প্রধান ডেভিড আরখামিয়ার দাবি, যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের বাহিনীগুলোর শীর্ষে রাজনীতিকদের থাকা উচিত নয়। প্রতিরক্ষা বা নিরাপত্তার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুষের সেই কাজ করা উচিত। কবে এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
রেজনিকভ রবিবার এক সংবাদসম্মেলনে বলেন, জেলেনস্কি মন্ত্রিসভায় রদবদলের সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। তবে তাকে কৌশলগত শিল্পক্ষেত্রের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী করা হবে বলে আরখামিয়া যে দাবি করেছেন, সেটি সত্য হলে তিনি উপযুক্ত অভিজ্ঞতার অভাবে এমন প্রস্তাব নাকচ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদলইয়াক বলেন, সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে রেজনিকভ বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছেন। সহযোগীদের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কও ইউক্রেনের জন্য কোটি কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা আনতে সাহায্য করেছে।
সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েও দুর্নীতির এক ঘটনার জের ধরে এক উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রেজনিকভ নিজে দুর্নীতির জোরালো বিরোধিতা করলেও তার মন্ত্রণালয়ে এমন ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোয় যোগদানের পথে দুর্নীতি বড় অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে বলে জেলেনস্কি আশঙ্কা করছেন।
ছবিঃ সংগৃহীত