বুধবার বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়ার কথা তিনি বিবেচনা করছেন। একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিয়েভের ব্যাপারে আরো সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের পর তিনি এমন মন্তব্য করলেন।
নেতানিয়াহু এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ব্যাপারে কোন দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেননি, ইসরায়েল রাশিয়ার সাথে একটি সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে। রাশিয়া ইসরায়েলের প্রতিবেশি দেশ সিরিয়ার আকাশ সীমা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি হামলার প্রতি অন্ধ দৃষ্টি রেখেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সাথে এক সাক্ষাতকারে নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইসরায়েল ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আইরন ডোম’ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারে কিনা। উত্তরে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ভাল, আমি গুরুত্বের সাথে বিষয়টি বিবেচনা করছি।
নেতানিয়াহু নিশ্চিত করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে রাখা তাদের মজুদ কামানের একটি অংশ ইউক্রেনে স্থানান্তর করেছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অস্ত্রের একটি বড় অংশ নিয়ে গেছে ও ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। এক্ষেত্রে ইসরায়েলও খোলামেলাভাবে বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা ইরানের অস্ত্র উৎপাদনের বিরুদ্ধে আমি সেগুলো এখানে সাজিয়ে রাখবো না।
ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেন, ইরান ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য মস্কোর কাছে কম দামে ড্রোন বিক্রি করছে। তেহরান ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশের এমন দাবি অস্বীকার করে আসছে।
নেতানিয়াহু বলেন, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর পর এক্ষেত্রে তাকে অনানুষ্ঠানিক ভূমিকায় মধ্যস্থতা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তখন বিরোধী দলে থাকায় এটি করতে রাজি হননি। তবে এখন তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট পক্ষ ও যুক্তরাষ্ট্র বললে তিনি এ ব্যাপারে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী হবেন।
সূত্রঃ এএফপি। ফাইল ছবি