‘পুতিন বনাম পশ্চিম’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দাবি করেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের আগে তাকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়েছিলেন।
তথ্যচিত্রে জনসন দাবি করেন, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে একটি দীর্ঘ ফোনকলের পুতিন এই হুমকি দিয়েছেলেন। যখন রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে তার কয়েক হাজার সৈন্য সংগ্রহ করছিল, বিশ্ব নেতারা ইউক্রেন আক্রমণ করার জন্য মস্কোর যে কোনও প্রচেষ্টাকে রোধে সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিল।
তথ্যচিত্রে জনসন বলেন, পুতিন আমাকে এক পর্যায়ে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, বরিস আমি তোমাকে আঘাত করতে চাই না, তোমার কাছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পৌছাঁতে মাত্র এক মিনিট সময় লাগবে। জনসন বলেন, আমি মনে করি পুতিন খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সুরে এই হুমকি দিয়েছিলেন।
জনসন দাবি করেন, তিনি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পুতিনকে সতর্ক করেছিলেন। যে কোনও সংঘাত এড়াতে ইউক্রেন অদূর ভবিষ্যতে ন্যাটোতে যোগদান করবে না বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিরাপদে দেশত্যাগের সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে জানান জনসন। জনসন বলেন, তিনি আমার সেই প্রস্তাবে প্রহণ করেননি, তিনি বীরত্বের সাথে যেখানে ছিলেন সেখানেই থেকে যান।
এছাড়াও জনসন, প্রাক্তন রাশিয়ান সামরিক কর্মকর্তা, ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার ডাবল এজেন্ট সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালের হত্যার জন্য রাশিয়াকে দোষারোপ করেছেন। ২০১৮ সালের ৪ মার্চে ইংল্যান্ডের সালিসবারি শহরে এই দুজনকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, বিবিসির এই তথ্যচিত্রটি বিশ্ব নেতাদের সাথে পুতিনের কথোপকথনের উপর আলোকপাত করেছে। এটি ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া আক্রমণ থেকে ইউক্রেন আক্রমণ পর্যন্ত সমস্ত কিছু অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস তার রাশিয়ান প্রতিপক্ষ সের্গেই শোইগুর সাথে মস্কোতে দেখা করেছিলেন যেখানে তিনি কোনও আক্রমণ না করার আশ্বাস পেয়েছিলেন। ঠিক ১৫ দিন পরই ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া।
সূত্রঃ বিবিসি। ফাইল ছবি