দুই রাজ্যে ভেঙে পড়ল মোট তিনটি বিমান কয়েক মিনিটের ব্যবধানে। মধ্যপ্রদেশের মোরেনাতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সুখোই-৩০ এবং মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজস্থানে একটি চার্টার্ড বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনটি দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবাহিনী।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মধ্য প্রদেশের বিগত দুই দিন ধরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মহড়া চলছিল। শনিবার সকালে মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়র এয়ারবেস থেকে সুখোই-৩০ এবং মিরাজ ২০০০ এই দুটি যুদ্ধবিমান মহড়া শুরু করেছিল। আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পরই মোরেনার কাছে দুটি বিমান ভেঙে পড়ে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এনডিটিভি জানিয়েছে, সুখোই-৩০ বিমানটিতে দুই এবং মিরাজে একজন পাইলট ছিলেন। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে সুখোই-৩০-এর দুই পাইলট বিমানটি থেকে বের হতে সক্ষম হন, তারা গুরুতর আহত হয়েছেন।
মিরাজ ২০০০ বিমানটির পাইলটের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার খোঁজে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাতে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। অবশেষে তাকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়।
ভারতীয় বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। বিমানদুটির ব্ল্যাকবক্সের খোঁজ করা হচ্ছে। ব্ল্যাক্সবক্সের খোঁজ পাওয়া গেলেই দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে। আপাতত মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা থেকে মহড়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেরিতে মহড়া শুরু হয়। সুখোই বিমানটি সকালে সাড়ে ৯টায় প্রথমবার মহড়া দেয়। তারপর বিমানটি অবতরণও করে। পরে ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ ফের উড়ান শুরু করে বিমান, এরপরই বিমানটি ভেঙে পড়ে। সুখোই বিমানে দুইজন পাইলট ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ভেঙে পড়া আরেকটি বিমান মিরাজ-২০০০। এই বিমানটি প্রথমবার মহড়া শুরু করার পরই ভেঙে পড়ে। মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানে একজন পাইলট ছিলেন। তারও খোঁজ মিলছে না। ভেঙে পড়া দুটি বিমানের মধ্যে মাত্র পাঁচশো মিটার দূরত্ব ছিল। বিমানদুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে নাকি অন্য় কোনও কারণে ভেঙে পড়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
রাজস্থানের ভরতপুরের নাগলা দিদা এলাকায় একটি চার্টার্ড বিমান ভেঙে পড়ে শনিবার সকালে। স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা।
ছবিঃ সংগৃহীত