২০২৩ সালটা অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমনই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। আইএলওর পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি বছরে বেকারত্বের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
আইএলও তার প্রতিবেদনে বলেছে, ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে বিশ্ব-অর্থনীতির পতন, উচ্চ হারে মূল্ বৃদ্ধি ও বিভিন্ন দেশের কঠোর মুদ্রানীতির কারণে এই বছর কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি ১ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বে বেকারের সংখ্যা ৩০ লক্ষ বৃদ্ধি পাবে। সব মিলিয়ে বিশ্ব জুড়ে বেকারের সংখ্যা দাঁড়াবে ২০.৮ কোটি।
চলতি বছরে বেকারত্বের হার বাড়তে চলেছে ৫.৮ শতাংশ। আগে আইএলওর রিপোর্টেই ২০২৩ সালে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ১.৫ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল।
আইএলওর গবেষণা বিভাগের ডিরেক্টর রিচার্ড সাম্যান্স বলেছেন, বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থান বৃদ্ধির গতির মন্থর হতে চলেছে। কোভিড -১৯ সঙ্কটের সময় কর্মসংস্থানের যে ক্ষতি হয়েছিল, ২০২৫ সালের আগে সেই ক্ষতি পূরণ করা যাবে, এমনটা আমরা আশা করি না।
আইএলও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যূনতম আয়ের তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় সম্পর্কিত একটি সংকট তৈরি হবে। এই সঙ্কট আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেবে। বৈশ্বিক অর্থনীতির বৃদ্ধির গতি মন্থর হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
আইএলওর ডিরেক্টর গিলবার্ট হাউংবো বলেছেন, গোটা বিশ্বে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলো বিচ্ছিন্নভাবে কোভিড মহামারির ক্ষতিপূরণ করতে পেরেছে। জলবায়ু পরিবর্তন, মানব-সৃষ্ট বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে এই পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া আরও বাধা পেয়েছে।
আরও বলেছে, বর্তমানে বিশ্বে যুব শ্রমশক্তির দুই-তৃতীয়াংশই মৌলিক দক্ষতাহীন। ফলে তাদের কাজের সম্ভাবনা সীমিত হয়ে গেছে। অল্প বেতন ও নিম্নমানের কাজ করে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে তাদের। সবথেকে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়স গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের পক্ষে উপযুক্ত কর্মসংস্থান খুঁজে পাওয়া এবং সেই কাজ ধরে রাখা গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠতে পারে।
সূত্রঃ রয়টার্স। প্রতিকী ছবি