বিমান দূর্ঘটনায় ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে নেপালের পোখরায়। মনে করা হচ্ছে, আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে তিন শিশুসহ ৬৮ যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৫ জন বিদেশি নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
নেপালি কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, ফারাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় যেখানে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখান থেকে ইতোমধ্যে ৬৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা এ কে ছেত্রী এএফপিকে বলেন, ৩১টি মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল সেখানে আরও ৩৬টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে সেখানে উদ্ধার কার শুরু করেন। সেখান থেকে অন্তত দুজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ছেত্রী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের টুইন-ইঞ্জিনের এটিআর৭২ বিমানটি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে যাত্রা করে ও পোখরার পুরাতন এবং নতুন বিমানবন্দরের মধ্যবর্তীস্থানে বিধ্বস্ত হয়।
নেপালের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএএন) জানিয়েছে, বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে সকাল ১০:৩৩ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং প্রায় ২০ মিনিট পরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। দুই শহরের মধ্যে ফ্লাইট সময় ২৫ মিনিট। বিমানটি পোখারা বিমানবন্দরে অবতরণের মাত্র ৫ মিনিটের দূরত্বে একটি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়।
মাটিতে পড়ে যাওয়ার আগে ঠিক কী ঘটেছিল বিমানটিতে, তার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ভিডিওটি একটি বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে তুলেছিলেন এক ব্যক্তি।
ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, মাঝ আকাশেই ধীরে ধীরে বেঁকে যায় বিমানটি। তার পর প্রায় উল্টে যায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভয়ঙ্কর শব্দ শোনা যায়।
সামাজিক মাধ্যমে আরও কিছু ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। যেগুলোতে দেখা যায়, মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর আগুন লেগে যায় বিমানে। কালো ধোঁয়া বের হতে থাকে।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বরতৌলা এএফপিকে বলেছেন, আমরা এখনই জানি না কেউ বেঁচে আছে কিনা। তবে উদ্ধার কাজ চলছে।
ছবিঃ সংগৃহীত