একটি শীর্ষ সম্মেলনের আহ্বাবান জানিয়েছেন ইউক্রেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে। এই সম্মেলনে রাশিয়া অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, তার সরকার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে দুই মাসের মধ্যে একটি ‘শান্তি’ শীর্ষ সম্মেলন চায়।
কুলেবা বলেন, জাতিসংঘ শান্তি সম্মেলন আয়োজনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হবে, এটি একটি নির্দিষ্ট দেশের প্রতি অনুগ্রহ করার বিষয়ে নয়।
শান্তির দিকে কোনো অগ্রগতির সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে হচ্ছে। কারন কুলেবার রুশ প্রতিপক্ষ সের্গেই ল্যাভরভ সোমবার কিয়েভকে একটি আল্টিমেটাম দিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন, হয় তার দেশের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলের আত্মসমর্পণ মেনে নিতে অথবা রাশিয়ান সেনাবাহিনী ইউক্রেনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
জাতিসংঘ কুলেবার প্রস্তাবে সতর্কতার সাথে সাড়া দিয়েছিল।
জাতিসংঘের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেনসিয়া সোটো নিনো-মার্টিনেজ বলেছেন, যেমন মহাসচিব অতীতে বহুবার বলেছেন, তিনি কেবল তখনই মধ্যস্থতা করতে পারেন যদি সব পক্ষ তাকে মধ্যস্থতা করতে চায়।
কুলেবা বলেন, প্রতিটি যুদ্ধ একটি কূটনৈতিক উপায়ে শেষ হয়, শান্তি সম্মেলনের আগে রাশিয়াকে অবশ্যই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে একটি শস্য চুক্তির আগে অন্যান্য দেশগুলিকে রাশিয়ানদের সাথে যুক্ত হতে নির্দ্বিধায় করা উচিত।
কুলেবা বলেছেন, তিনি গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মার্কিন সফরের ফলাফল নিয়ে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট।
তিনি জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে প্যাট্রিয়ট মিসাইল ব্যাটারি চালু করার জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনা করেছে।
কুলেবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎকারের সময় বলেছিলেন, ইউক্রেন ২০২৩ সালের যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য যা যা করা যায় তা করবে।
কুলেবার প্রস্তাবের বিষয়ে মন্তব্য করে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাষ্ট্রীয় আরআইএ নভোস্তি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, রাশিয়া কখনও অন্যদের নির্ধারিত শর্ত অনুসরণ করেনি। শুধুমাত্র আমাদের নিজস্ব এবং সাধারণ জ্ঞান।
ক্রেমলিন মুখপাত্র গত সপ্তাহে বলেছিলেন, আজকের বাস্তবতা উপেক্ষা করে ইউক্রেনীয় শান্তি পরিকল্পনা সফল হতে পারে না।
সূত্রঃ আল জাজিরা। ফাইল ছবি