সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল।
বড় তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে একাদশে না রেখেই মাঠে নামে পর্তুগিজরা। রোনালদো একাদশে না থাকলেও সুইসদের বিপক্ষে গোল পেতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি পর্তুগালকে।
শুরুতেই পর্তুগালকে এগিয়ে নেন রোনালদোর পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া গঙ্কালো রামোস। পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের স্বাদও। ম্যাচের ১৭, ৫১ ও ৬৭ মিনিটে তিনটি গোল করেন রামোস। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক।
প্রথম গোল পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে উঠে ব্রুনো ফার্নান্দেজরা। এক পর এক আক্রমণে সুইস ডিফেন্ডারদের পরীক্ষা নিতে থাকেন পর্তুগিজরা। ২১ মিনিটেই আবারও এগিয়ে যেতে পারত তারা। ওতাভিউর লক্ষ্যভ্রষ্ট শট সুইজারল্যান্ড গোলরক্ষকের ফিরিয়ে দেন।
পাল্টা আক্রমণে যায় সাকিরির দল। ৩০ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় সুইসরা। সাকিরির নেয়া সেই শট অল্পের জন্য পর্তুগালের জালে জড়ায়নি।
সুইজারল্যান্ডের জালে উল্টো ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল দিয়ে বসে পর্তুগাল। দ্বিতীয় গোল করেন ৩৯ বছর বয়সী পেপে। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায়।
৫১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রামোস। ডানপ্রান্ত থেকে দিয়াগো ডালোটের ক্রস থেকে পা ছুঁয়ে বল জালে পাঠান তিনি। তাতেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল।
৫৫ মিনিটে পর্তুগাল চতুর্থ গোলের দেখা পায় পর্তুগিজরা। পর্তুগালের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন রাফায়েল। চার গোল হজমের পর একটি গোল পরিশোধ করে সুইজারল্যান্ড। ৫৮ মিনিটে কর্ণার থেকে পাওয়া বলে পা ছুঁইয়ে গোল করেন সুইজারল্যান্ডের আকাঞ্জি।
৬৭ মিনিটে নিজের তৃতীয় গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রামোস। ফ্লেক্সের বাড়ানো বল রিসিভ করে হাওয়ায় ভাসিয়ে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। শেষ মুহূর্তে পর্তুগালের রাফায়েল লিয়াও গোল করলে ৬-১ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল।
দীর্ঘ ১৬ বছর আগে শেষবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিলো পর্তুগাল।
ছবিঃ সংগৃহীত।