পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ডের কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে নকআউট পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে। ম্যাচ জিতলেই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যাবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল। সময় রাত ১২টা ৩০মিনিটে।
শেষ আটে পৌঁছে গিয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা, এমবাপের ফ্রান্স ও নেইমারের ব্রাজিল। সিআর সেভেনও যে এদিন দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে যেতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখবেন না। রোনালদো ছাড়াও কাতার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন পর্তুগালের ব্রুনো ফার্নান্ডেজ, জোয়াও ফেলিক্সরা। পর্তুগাল তাদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরেছে। নাটকীয় এই হারের পরও শেষ পর্যন্ত গ্রুপসেরা হয়েই শেষ ষোলোয় ওঠে।
গ্রুপ পর্বে ভালো ফুটবল খেলেছে সুইজারল্যান্ডও। ব্রাজিলের সঙ্গে পেরে না উঠলেও সার্বিয়া ও ক্যামেরুনকে হারিয়ে নকআউট নিশ্চিত করেছে সুইজারল্যান্ড। গত ম্যাচে গোল পেয়েছেন জারদান শাকিরি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব।
শেষ আটের স্বপ্ন সত্যি করতে সুইসদের তিন বিভাগকেই জ্বলে উঠতে হবে। অভিজ্ঞ তারকা জেরদান শাকিরিকে রাখতে হবে ভূমিকা। সঙ্গে ক্যামেরুনের বিপক্ষে জয়সূচক গোল করা ব্রিল এম্বোলোর ওপরও থাকবে প্রত্যাশার চাপ। পর্তুগিজ রক্ষণ ভেদ করতে নিজেদের সেরা ফুটবলটাই খেলতে হবে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যদের।
পরিসংখ্যান সুইসদের পক্ষে কথা বলছে। ২৫ বারের দেখায় সুইজারল্যান্ড জিতেছে ১১ বার, পর্তুগাল ৯ বার। ৫ বার হয়েছে ড্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ১৯৩৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দল দুটি প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি হয়। সেই ম্যাচ সুইসরা ২-১ গোলে জিতেছিল। একবিংশ শতাব্দীতে লড়াইটা হয়েছে সমানে সমানে। ৬ বারের দেখায় দল দুটি সমান ৩টি করে জয় ও হারের মুখ দেখেছে।
এবারই প্রথম ফুটবলের বিশ্ব আসরে মুখোমুখি হতে চলেছে। বাছাইপর্বে অবশ্য সাক্ষাৎ হয়েছে ৯ বার। পর্তুগাল জিতেছে ৪ বার, সুইজারল্যান্ড ৩ বার। ড্র হয়েছিল দুই ম্যাচে।
পর্তুগালের সম্ভাব্য একাদশ
দিয়োগো কস্তা (গোলরক্ষক), ডিফেন্সে ক্যানসেলো, পেপে, ডিয়াস, গুরেইরো। মাঝমাঠে বার্নার্ডো সিলভা, নেভেস, কার্ভালহো। আক্রমণে রোনালদো, ফার্নান্ডেজ এবং ফেলিক্স।
সুইজারল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ
গ্রেগর কোবেল (গোলরক্ষক), আকানজি, ফ্যাবিয়ান শার, রদ্রিগেজ, উইডমার, গ্রানিত জাকা, রেমো ফ্রেউলার, জেরদান শাকিরি, জিব্রিল সো, রুবেন ভার্গাস ও ব্রিল এমবোলো।
ছবিঃ সংগৃহীত।