আগামী শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারলেই লিওনেল মেসির দল চলে যাবে সেমিফাইনালে।
শিরোপা জয়ের আরও কাছাকাছি চলে যাবে। আর্জেন্টিনাকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে মেসি বিরাট ভবিষ্যৎবাণী করে দিলেন। জানিয়ে দিলেন কোন চার দল জিততে পারে কাতার বিশ্বকাপ।
মেসির ক্যারিয়ারের পঞ্চম বিশ্বকাপ। শেষ বিশ্বকাপও। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে শিরোপার খুব কাছ থেকে ছিটকে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে দেশকে ট্রফি জেতানোর পণ নিয়ে কাতারে পা রেখেছে। মুখে যাই বলুন, পারফরম্যান্সই সব পরিকল্পনা ফাঁস করে দিচ্ছে। কাতার থেকে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে আর্জেন্টিনা নিয়ে যেতে চান। কাপ জয়ের দাবিদারদের তালিকায় তাই প্রথমেই রাখলেন নিজের দেশকে।
ম্যাচ শেষে মেসি বলেন, আর্জেন্টিনা পাওয়ারহাউস। সবসময় অন্যতম। আমরা কাপ জয়ের দাবিদার। সেটা আমাদের প্রমাণ করতে হবে মাঠে নেমে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দিয়েছি সেই প্রমাণ। আমরা বিশ্বকাপে সব ম্যাচ দেখার চেষ্টা করি। দেখুন ব্রাজিলও কিন্তু দারুণ খেলছে। ক্যামেরুনের বিপক্ষে হার বাদ দিয়েই বলব যে, ওরা অন্যতম সেরা ফেভারিট। ফ্রান্সও ভালো খেলছে। স্পেনও দারুণ। জাপানের কাছে হার বাদ দিলেও ওরা খুব ভালো খেলছে। ওদের অত্যন্ত স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে, যে ওরা কী করছে। ওদের পা থেকে বল কাড়া খুবই কঠিন। অনেক বেশি সময়ে বল পজিসনে রাখছে। ওদের হারানো কঠিন।
দুই বিশ্বকাপেরই গ্রুপ পর্যায়ে থেকে ছিটকে গিয়েছে জার্মানি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের দেখে হতাশ মেসি। তিনি বলছেন, জার্মানিকে বেরিয়ে যেতে দেখে অবাক হয়েছি। অনেক প্রথমসারির ফুটবলার রয়েছে। একেবারে তরুণ দল। তরুণ দল সবসময় বিশ্বকাপে আলাদা হয়ে থাকে। আমি অবাক যে, ওরা প্রথম রাউন্ডে বেরিয়ে গেল!
এটাই বুঝিয়ে দেয় যে, বিশ্বকাপ কতটা কঠিন। দেশের নাম এখানে আর প্রাধান্য পায় না। মাঠে যা দেখি সেটাই সব। সকলেই প্রায় সমান হয়ে গিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেসি কেরিয়ারের ১০০০ তম ম্যাচ খেললেন। অসাধারণ গোল করেই ম্যাচ শুধু স্মরণীয় করে রাখলেন না। মেসি টপকে গেলেন তাঁর ফুটবল ‘আইডল’ দিয়েগো মারাদোনাকে। আর্জেন্টাইনদের মধ্যে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তিও এখন মেসির ঝুলিতে।
নীল-সাদা জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তিও মেসির ঝুলিতে।
ছবিঃ ইন্টারনেট।