চুলে পাক ধরার সমস্যা আছে অনেকের। বয়সে চুল পাকে তো কারও নানা শারীরিক জটিলতায় অল্প বয়সে চুল পাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৩০ বছরের পর থেকে প্রতি বছরই ১০ থেকে ২০ শতাংশ হারে চুল পেকে যাচ্ছে। চুল পেকে যাওয়ার প্রধান কারণ হল ত্বকে মেলানিন তৈরির হার কমে গেলে।
সাদা চুলে রঙ করে থাকেন। চুলে রঙ করলে তা শুধু উপরেই থাকে, কেমিক্যাল যুক্ত রঙ চুলের মলিনতা নষ্ট করে দেয়। যদি খাবারের তালিকায় প্রতিদিন কিছু অন্য খাবার রাখা যায়, বাহ্যিক রঙ ছাড়াই চুল কালো হবে।
কারি পাতা
কারি পাতার ঔষধি গুণ রক্তে থাকা টক্সিন দূর করে। রক্ত পরিশ্রুত হলে চুল পাকার সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারেন। কারি পাতা গাছ থেকে তুলে কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন। রান্নাতেও কারি পাতা খাওয়া যেতে পারে।
সামুদ্রিক মাছ
শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবেও চুল পেকে যেতে পারে। প্রতিদিন কিছু পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ খেলে কখনওই শরীরে প্রোটিনের অভাব দেখা দেবে না। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর সামুদ্রিক মাছ,মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি করে।
আমলকি
চুল কালো করা নয়, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে থাকে আমলকি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকি। বিপাকহারও বাড়ায়। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলি সঠিক নিয়মে চললে, চুল পেকে যাওয়ার গতি কিছুটা হলেও কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেতে পারেন। ভাতের সঙ্গে আমলকি সেদ্ধ খেলে উপকার মেলে।
লিকার চা
শ্যাম্পু করার পর চায়ের লিকার দিয়ে চুল ধুয়ে থাকেন অনেকে। বাইরে থেকে চুলের চকচকে ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে চা পাতা ভেজানো জল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুধ ও চিনি ছাড়া কালো চা ত্বকে মেলানিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
ছবিঃ প্রতীকী।