এই সপ্তাহে অন্তত ৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সংখ্যা ১৩৯ জনে দাড়িয়েছে। গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। জাতিসংঘ এটিকে বিরোধী দলকে দমন করার হাতিয়ার হিসেবে মৃত্যুদন্ড ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বুধবার বন্ধ দরজার পিছনে একটি সামরিক আদালত কমপক্ষে সাতজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও চার যুব কর্মীকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জাতিসংঘ তদন্ত করছে।
তুর্ক বলেন, বিরোধিতাকে দমন করার জন্য একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে মৃত্যুদণ্ড ব্যবহার করা হচ্ছে, যা সেনাবাহিনী সুষ্ঠু বিচারের মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘন করে। গোপন ট্রাইব্যুনালের শুনানি কখনও কখনও কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় এবং আটক ব্যক্তিদের প্রায়শই আইনজীবী বা তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ ছাত্রসহ সমস্ত মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার, মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তুর্ক।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়াঙ্গুন-ভিত্তিক ড্যাগন ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের এপ্রিল মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে একটি ব্যাংকে গোলাগুলিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
ড্যাগন ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে বলেছে, ছাত্রদের উপর মৃত্যুদণ্ড আরোপ করা সামরিক বাহিনীর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির বেসামরিক সরকার পতনের পর থেকে মিয়ানমার বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।
সূত্রঃ আল জাজিরা।