Mauna Loa: সক্রিয় হয়ে উঠেছে আগ্নেয়গিরি, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে বিশ্বের সবচেয়ে বড়

Published By: Khabar India Online | Published On:

মাউনা লোয়া থেকে লাভা বের হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি। প্রায় চার দশক বছর পর ওই আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বের হওয়া শুরু।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, হাওয়াইতে স্থানীয় সময় রবিবার রাতে আগ্নেয়গিরিটি থেকে লাভার উদগিরণ শুরু হয়। স্থানীয়দের সতর্কবার্তা দিয়েছে প্রশাসন।

অগ্ন্যুৎপাত শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই অঞ্চলে রিখটার স্কেল প্রায় তিন মাত্রার ১০টির বেশি ভূকম্পন আঘাত হেনেছে। বেশি মাত্রার ভূকম্পনটি ছিল ৪ দশমিক ২ মাত্রা।

আরও পড়ুন -  বন্ধুত্বের কোনো সীমারেখা নেই...

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে উদগিরিত গলিত লাভা পবর্তের সুউচ্চ শৃঙ্গ কলডেরাসে সীমাবদ্ধ রয়েছে। তলার বাসিন্দাদের জন্য এটি তেমন বিপজ্জনক নাও হতে পারে। কিন্তু, আগের ভয়াবহ উদগিরণের কথা বিবেচনায় রেখে স্থানীয়দের জন্য সতর্কবার্তা বাড়িয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তারা জানিয়েছে, লাভার পরিমাণ যেকোনো সময় বাড়তে পারে, গড়িয়ে পাদদেশে নেমে এসে জনবহুল দুটি শহর হিলো ও কোনাতে ধ্বংসলীলা হতে পারে।

আরও পড়ুন -  ICC T20 World Cup 2024: টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কারা জায়গা পেলেন? রইল টিম তালিকা

আগ্নেয়গিরিবিষয়ক ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ ও হাওয়াই ভলকানো অবজারভেটরিতে কর্মরত ড. জেসিকা জনসন বলেন, ‘লাভার স্রোত হিলো ও কোনা শহরের বাসিন্দাদের জীবনকে ভয়াবহ হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। এমন উত্তপ্ত লাভা শহরের অবকাঠামো ও প্রকৃতি পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারে। সঙ্গে উদগিরিত বিষাক্ত গ্যাস ও ছাইয়ের কারণে শ্বাসকষ্টে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।’

হাওয়া ভলকানোস ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে অবস্থিত মাউনা লোয়া পর্বতটি হাওয়াইয়ের ‘বিগ আইল্যান্ড’-এ অর্ধেকেরও বেশি জায়গা দখল করে রেখেছে। মাউনা লোয়া পবর্তটি ২,০০০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। আগ্নেয়গিরির চূড়াটি সমুদ্রের উপরিভাগ থেকে ১৩ হাজার ৬৭৯ ফুট ওপরে।

আরও পড়ুন -  ভারতের পাশে গুগুল ও মাইক্রোসফট, সব রকম সাহায্য করবেন, করোনার জন্য

১৯৮৪ সালের অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল মাউনা লোয়াতে। তখন ওই দ্বীপের সবচেয়ে জনবহুল শহর হিলোর পাঁচ মাইল ভেতরেও লাভা চলে গিয়েছিল।

উল্লেখ্যে, মাউনা লোয়া পৃথিবীর বৃহত্তম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি।

ছবিঃ বিবিসি।