Argentina-Mexico Match Referee: ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন, আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচ রেফারি, গল্পটা ভিন্নরকম

Published By: Khabar India Online | Published On:

‘Do or Die’, ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে মাঠে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। কাতারের রাস্তায় দু’দিন আগে মারামারিতে জড়িয়েছে কোপা আমেরিকার দুই দেশের একদল সমর্থকরা। লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রতিটি ফুটবলার যেমন নজরে থাকবেন, তেমনই নজরে থাকবেন ম্যাচ রেফারিও। আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচে রেফারিং করবেন ইতালির ড্যানিয়েল ওরসাতো।

 রেফারিংয়ে আসার গল্পটা ভিন্নরকম। ইতালিতে জন্ম নেয়া ড্যানিয়েল শৈশবে আলো নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন। কীভাবে আলো জ্বলে, তা নিয়ে রীতিমতো জল্পনা-কল্পনা করতেন। শৈশব থেকে তিনি ইলেকট্রিশিয়ান হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। পরে তিনি ইলেকট্রিশিয়ান হয়েছিলেনও। তার পর এক সহকর্মীর পরামর্শে ফুটবল রেফারি হওয়ার কোর্স করেন। এরপর ড্যানিয়েলের জীবন বদলে যায়।

আরও পড়ুন -  Argentina: ফাইনালে আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে

৪৬ বছর বয়সী ড্যানিয়েল ওরসাতো ২০১০ সাল থেকে ফিফার হয়ে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে ভিডিও সহকারী রেফারি (VAR) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 লিসবনে ২০২০ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল পিএসজি ও বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দায়িত্বে ছিলেন। কাতার বিশ্বকাপে প্রধার রেফারির দায়িত্বে এই প্রথম পালন করলেন ড্যানিয়েল। ২০২০ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফুটবল হিস্ট্ররি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্সের’ পক্ষ থেকে সেরা রেফারির পুরস্কার পেয়েছিলেন ওরসাতো।

আরও পড়ুন -  Tourists: লকডাউনে আটকা ৮০ হাজার পর্যটক, চীনের সানিয়ায়

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রেফারির দায়িত্ব পাওয়ার অনুভূতি নিয়ে ওরসাতো বলেন, আমি রেকোয়ারোতে যখন ট্রেনিংয়ে ছিলাম, তখন আমি উয়েফা মনোনীত রোসেটির কাছ থেকে একটি ভিডিও কল পেয়েছিলাম। তিনি আমাকে একটি প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কি অন্য খেলা খেলতে প্রস্তুত? বাড়ি ফিরে রীতিমতো কেঁদেছিলাম। আমার ছেলেমেয়েরা আমাকে ওই ভাবে কাঁদতে দেখে তখনই বুঝতে পেরেছিল যে, আমাকে উয়েফা ফাইনালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -  স্মৃতিমেদুর

ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে, রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইতালির ড্যানিয়েল ওরসাতো। এইবার মেসিদের ম্যাচের গুরুদায়িত্বও পেলেন। ওরসাতো এমন রেফারি হিসেবে পরিচিত, যিনি ভি-আরের উপর নির্ভর করতে পছন্দ করেন। ঠান্ডা, শান্ত স্বভাবের ওরসাতো মাঠে ৯০ মিনিটে কিন্তু অত্যন্ত কঠিন, কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। যেমনটা তাকে আজও করতে হবে আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচে।

ছবিঃ সংগৃহীত।