কাতার বিশ্বকাপের পর লিওনেল মেসিকে আর দেখা যাবে না বিশ্ব মঞ্চে। অধিনায়ক আগেই জানিয়েছেন, কাতারই তার শেষ বিশ্বকাপ। সর্বোচ্চ গোলদাতা না হলেও বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তাকে দেয়া হল সোনার বুট।
যদিও বিশ্ব মঞ্চে নামার আগেই তিনি পেয়ে গিয়েছেন উপহার। কাতারে মেসিকে দেখা যাবে সোনার বুট পায়ে খেলতে। সত্যিই কি সোনার তৈরি? দেখতে তেমন হলেও বুটটি সোনার নয়। আর্জেন্টাইন তারকার জুতোর সেই ছবি প্রকাশ্যে আনল অ্যাডিডাস।
গতবছর কোপা আমেরিকা জিতেছে আর্জেন্টিনা। ক্লাবের হয়ে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন। কিন্তু ফুটবলপ্রেমীরা জানেন, একটি বিশ্বকাপই তৈরি করে একজন মহান ফুটবলার। এবার বিশ্বকাপ তাই স্পেশাল লিও মেসির। এবারই শেষ সুযোগ। এবার হলে ভাল, না হলে থেকে যাবেন সেই তালিকায়।
মেসির জন্য এবার স্পেশাল জুতো দেবে অ্যাডিডাস। সেই জুতো পরে কাতারে খেলবেন তিনি। মেসির এই জুতোর রং সোনালি। নীল রংয়েরও ব্যবহার করা হয়েছে। এই স্পেশাল এডিশন জুতার নাম ‘অ্যাডিডাস এক্স মেসি ২০২২ ওয়ার্ল্ড কাপ স্পিডপোর্টাল বুটস’। মঙ্গলবার সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা।
অ্যাডিডাসের তৈরি জুতায় ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিশেষ ধরনের স্টাড। মেসি দ্রুত গতিতে দৌড়ানোর সময় কোনও সমস্যা হবে না। চকিতে ঘুরলেও দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে এই স্টাডগুলি। বলের সঙ্গে সংযোগ হবে অনেক মসৃণ ভাবে। সুবিধা হবে শট নিতে।
সোনালি বুটে লেখা রয়েছে মেসির জার্সি নম্বর ১০। রয়েছে আর্জেন্টিনার নীল-সাদা স্ট্রাইপ। এক জন বিশিষ্ট শিল্পী মেসির জুতোর নকশা করেছেন। বিশ্বকাপ খেলার জন্য মেসিকে সরবরাহ করা হয়েছে প্রায় দু’ডজন বিশেষ জুতো।
বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া মেসি নিজেও। বাড়তি পরিশ্রম করছেন অনুশীলনে। শনিবার মেসি অনুশীলনে নামেন বেশ খানিকটা দেরি করে। একা একা অনুশীলন করেন। বল পায়ে, মাথায় নিয়ে নাচালেন। কোচের কথা শুনলেন। কথা বললেন সহকারীর সঙ্গে। শনিবার দুপুরে বাকি দলের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা হয়। মেসি সেখানে ছিলেন না। ছবিঃ সংগৃহীত।