Aindrila-Sabyasachi: অভিনেতা সব হারিয়ে নিঃস্ব, মৃত্যুর কাছে হার মানলো, সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার ভালোবাসা

Published By: Khabar India Online | Published On:

ঐন্দ্রিলা না ফেরার দেশে। লড়াকু মেয়েটা সব চেষ্টা ব্যার্থ করে লড়াই থামালো রবিবার।

এই মুহূর্তে তার প্রয়াণে স্তব্ধ সাধারণ থেকে গোটা তারকামহল। যে মানুষটা ঐন্দ্রিলার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন, প্রাণশক্তি হয়ে তিনি আজ সর্বহারা।

২০১৭’তে ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের সূত্র ধরেই পরিচয় হয়েছিল তাদের। সেইসময় ছোটপর্দায় তাদের অনস্ক্রিন রসায়ন নজর কেড়েছিল সকলের।

ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তাদের বন্ধুত্ব আলগা হয়নি। আরো গভীর হয়েছিল। পরে একে অপরের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন তারা।

আরও পড়ুন -  আর্মি গার্ড ব্যাটেলিয়নের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি

২০২১ সালে ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে তার। তবে সেখান থেকেও লড়াই করে ফিরে এসেছিলেন অভিনেত্রী। ২০২২ সালের শুরুর দিকেই তার সুস্থতার খবর পাওয়া গিয়েছিল। আর তার সেই সুস্থ হয়ে ওঠার প্রতিটি মুহূর্তে তার পাশে ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী।

 সকলের পাশাপাশি পাশে ছিলেন সব্যসাচী। তাকে ফিরিয়ে আনার সবরকম চেষ্টা করেছিলেন ডাক্তাররাও। সাধারণ থেকে তারকা সকলেই তার জন্য নিঃস্বার্থভাবে প্রার্থনা করে গিয়েছিলেন। আশা করছিলেন আবারো হয়তো কোন মিরাকেল হবে! আবারো সুস্থ জীবনে ফিরে আসবেন তিনি।

আরও পড়ুন -  Qatar World Cup: চূড়ান্ত দল ঘোষণা করলো ক্রোয়েশিয়া, বিশ্বকাপে ২৬ সদস্যের

পরপর বেশ কয়েকবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে শনিবার রাত থেকেই ধীরে ধীরে হার্টবিট কমতে শুরু করেছিল অভিনেত্রীর। সিপিআর সহ একাধিক সাপোর্টের সাহায্যে ঐ মুহূর্তে বাঁচানো গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। তবে নিজের সবথেকে কাছের মানুষটাকে এইভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে যেতে দেখে ভেঙে পড়ছিলেন অভিনেতা। তাও হাল ছাড়েননি তিনি। শেষপর্যন্ত জারি রেখেছিলেন তাদের একে অপরকে জড়িয়ে বেঁচে থাকার লড়াই। শারীরিক কষ্টে হাত অসাড় হয়ে গিয়েছিল ঐন্দ্রিলার। ফুলে গিয়েছিল ঐন্দ্রিলার মুখ ও পাও। হয়তো আর কিছুই হওয়ার নয়, জানার পরেও নিজের উদ্যোগে সব্যসাচী চালিয়ে গিয়েছিলেন মিউজিক থেরাপি।

আরও পড়ুন -  Yuvaan Chakraborty: শুভশ্রীর হাত ধরে অ-আ-ক-খ লিখল ছোট্ট ইউভান

অভিনেত্রীর প্রয়াণের পর পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন অভিনেতা। নিজের গোটা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটাই ডিলিট করেছেন তিনি। ঐন্দ্রিলার সাথে তিনিও লড়ে গিয়েছিলেন। নিজের সব থেকে কাছের মানুষটাকে আবারও ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। তবে শত চেষ্টার পরেও মৃত্যুর কাছে হার মানলো সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার ভালোবাসা।