World Cup Stadium-2022: বিশ্বকাপের আকর্ষণীয় স্টেডিয়াম, বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ারের হাতে তৈরি

Published By: Khabar India Online | Published On:

 ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’ বিশ্বকাপ ফুটবল। মরুভূমির দেশ কাতারে তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন অনেক স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপ চলাকালীন কাতারের যে আটটি স্টেডিয়ামের দিকে নজর রাখবে বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক, একটি হল এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম। নেপথ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার।

 ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য ৩২টি দেশ কাতারজুড়ে আটটি স্টেডিয়ামে শিরোপা দখলের লড়াইয়ে নামবে। আটটি স্টেডিয়ামের মধ্যে আল রায়ান শহরে অবস্থিত এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম একটি। সেই স্টেডিয়াম নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা কাতার প্রবাসী ওয়াশিকুর রহমান শুভ। স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজে কাঠামোগত ডিজাইন ও পরিকল্পনায় প্রধান ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন -  কিংবদন্তি ফুটবলার ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার প্রয়াত

কাতারের রাজধানী দোহার কেন্দ্রস্থল থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আল-রায়ান এলাকা। এই শহরেই অবস্থিত এই আকর্ষণীয় এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষেই সেখানে তৈরী করা হয়েছে স্টেডিয়ামটি। স্টেডিয়ামের নামকরণের সঙ্গেও রয়েছে একটি পরিকল্পনা। দোহার আল রায়ান এলাকায় রয়েছে, কাতারের বেশিরভাগ নামকরা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারণেই মূলত এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর, ভার্চুয়াল ইভেন্টের মাধ্যমে করোনার ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্সদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ২০২০ সালে উদ্বোধন করা হয় এই স্টেডিয়ামের।

আরও পড়ুন -  Monami Ghosh: মৌ বৌদি এখন লাদাখে কি করছেন ?

 বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলা খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ও স্নাতকত্তোর ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর পাড়ি দেন দুবাইয়ে। সেখান থেকে ২০১০ সালে স্টেডিয়ামের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন কাতারে।

তিনি বর্তমানে কাতারের লুসেইল সিটিতে ওয়াটার পার্ক প্রকল্পে অন্যতম মূল ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন। যা কাতার বিশ্বকাপের ফ্যান জোন হিসেবে ব্যবহার করা হবে। বিশাল হোটেল-মোটেল, সমুদ্র সৈকত, বিলাসবহুল ভিলা, শপিং মল, ওয়ার্টার পার্ক ও থিম পার্ক নিয়ে এই সব প্রকল্প। এখানেও তিনি হেড স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।

আরও পড়ুন -  শ্রী গুরু রামদাস জির প্রকাশ পর্বে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

ওয়াশিকুরের ছোট ভাই ডাঃ মো. ওয়াসিম বারী জয় বলেন, ভাই হিসেবে সত্যি গর্ববোধ হচ্ছে। আমার বড় ভাই শুরু থেকে কাতারের ওই স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ করেছেন। শুধু পরিবারের কেউ হিসেবে নয় বাঙালি বা বাংলাদেশের যারাই বিশ্বের বুকে এই রকম অবদান রাখবে তাদেরকে নিয়ে দেশের সকলের গর্ব করা উচিত।

সূত্রঃ টিভিনাইন, সংগৃহীত ছবি।