শুরু হবে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের মূলপর্ব। দেশবিদেশের প্রায় ১২ লাখ ফুটবলপ্রেমী যাবেন খেলা দেখতে। কাতারের আইন-কানুন মেনে চলতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে যাওয়ার আগে সেখানকার কিছু নিয়ম জেনে রাখা জরুরি। কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর ফুটবলপ্রেমীদের মনে নানা রকম ভয় জন্মে। ভয়ের কারণ কাতারের কঠোর আইন। ভয় কাটাতে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই নরম মনোভাব নেয়ার কথা জানিয়েছে কাতারের প্রশাসন। ফুটবলপ্রেমীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, নিশ্চিত করার কথা বলেছেন বিশ্বকাপের আয়োজকরা।
প্রকাশ্যে কারও সাথে সাক্ষাৎ বিনিময় করার সময় দাঁড়িয়ে করমর্দন করাই ভাল। বিশেষ করে বয়সে বড় কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ বিনিময় করার সময় দাঁড়ানো এক রকম বাধ্যতামূলক। কোন নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ বিনিময় করার সময় নিজে থেকে করমর্দনের জন্য হাত না বাড়ানোই ভাল, সেই মহিলার প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। তিনি করমর্দনের জন্য আগ্রহ দেখালেই শুধু হাত বাড়ানো যাবে। কাতারের অধিকাংশ নারী অন্য পুরুষের স্পর্শ এড়িয়ে চলেন। সুতরাং নিজে থেকে হাত না বাড়ানো ভালো। নিরাপদ থাকতে ডান হাত নিজের হৃৎপিণ্ডের উপর রাখতে পারেন। কাতারের এই ভাবে সাক্ষাৎ বিনিময়ের রীতি।
বান্ধবী বা স্ত্রীকে নিয়ে বিশ্বকাপ দেখতে গেলে রাস্তায় তার হাত ধরে হাঁটতে পারেন। প্রকাশ্যে জড়িয়ে না ধরাই ভাল। প্রিয় দলের জয়ের আনন্দে তাকে চুম্বন করবেন না। প্রকাশ্যে চুম্বন এখানে অপরাধ।
ইংরাজিতে আপনি দক্ষ হতেই পারেন। সব জায়গায় ইংরেজি ভাষা ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ কাতারের অধিকাংশ মানুষই ইংরাজিতে দক্ষ নয়। কাতারের কিছু প্রয়োজনীয় স্থানীয় শব্দ জেনে রাখা ভালো।
ভাগ্য ভাল থাকলে কাতারের কোনো নাগরিকের আমন্ত্রণ পেতে পারেন। বাড়িতে গেলে কিছু বিষয় মেনে চলা ভালো। জুতা পরে তার বাড়িতে ঢুকবেন না। এতে গৃহকর্তা অপমানিত বোধ করতে পারেন। বাইরে জুতা খুলে বাড়ির ভিতরে যাবেন। কখনই পায়ের উপর পা তুলে বসবেন না। তা হলে আপনার সম্পর্কে খারাপ ধারণা তৈরি হবে।
কাতারের মানুষ সাধারণত একটি বড় পাত্রে একসঙ্গে খাবার খান। অতিথিকেও তারা এই ভাবেই আপ্যায়ন করেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এক পাত্র থেকে খান অতিথিরা। কাজেই এসব কেতা জানা না থাকলে বিব্রতকর পরিস্থিতি পড়ার সমূহ আশঙ্কা। ছবিঃ সংগৃহীত।