প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব কিডনির অসুখে ভুগছেন। ক্রমশই খারাপ হচ্ছিলো তার শারীরিক পরিস্থিতি। সুস্থ করে তুলতে নিজের কিডনি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন লালুর মেজো মেয়ে রোহিনী আচার্য। লালুর পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ সদস্য এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে।
গত মাসেই সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছিলেন লালু। কিডনির জটিলতা ছাড়াও একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান আরজেডি প্রতিষ্ঠাতা। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের পরামর্শ, দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন দরকার। এরপরই এগিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন রোহিনী। লালুকন্যা সিঙ্গাপুরেরই বাসিন্দা।
রোহিনী আচার্য বলেন, হ্যাঁ, এটা সত্যি। আমি ভাগ্যবান সন্তান, বাবাকে আমার কিডনি দিতে পেরে আমি গর্বিত।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, নভেম্বরের শেষেই সম্ভবত সিঙ্গাপুরে উড়ে যাচ্ছেন লালু। জানা গিয়েছে, প্রথমে লালুর মেয়ের ইচ্ছেয় সায় ছিল না। শেষপর্যন্ত তিনি রাজি হয়েছেন।
গত জুলাইয়ে পাটনার সার্কুলার রোডের বাড়িতে পড়ে গিয়ে ডান কাঁধের হাড় ভাঙে লালুর। তখন থেকেই অসুস্থতা আরও বেড়েছে। দ্রুত হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয় তাকে। যদিও পরে জানা যায়, লালুর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। সেই সময়ই লালুপুত্র তেজস্বী যাদব বলেন, কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য লালুকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তারা।
এই অবস্থায় সেটা করা হচ্ছে না। দিল্লির চিকিৎসকরা যা পরামর্শ দেবেন, সেটাই মেনে চলা হবে। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভবিক হলে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয় লালুকে।
উল্লেখ্য, বয়সের ভারে ন্যুব্জ লালুপ্রসাদ মানসিক ও শারিরীকভাবে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অনেক আগেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে দলের কোনও সংকট হলেই অবতারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
সূত্রঃ এনডিটিভি। ছবিঃ সংগৃহীত।