রাজধানী ও আশপাশের এলাকার মানুষ ইতিমধ্যেই শীত অনুভব করতে শুরু করেছে। শীত এলেই দেশে ডিমের চাহিদা বেড়ে যায়।
এই ডিম প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ। শীতকালে এই ডিমের ব্যবহার বেড়ে যায়। এখন আসল ডিমের পাশাপাশি দেশে নকল ডিমও বিক্রি হয়। শীতকালে ডিম খেলে নকল ডিম থেকে সাবধান। এটি আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। কেনার সময় আসল ডিম চিনে নিন। কিভাবে এই ডিম চিনবেন?
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দেশে ডিমের ব্যবসা এক লাখ কোটি টাকার বেশি। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ডিম উৎপাদনকারী দেশ। ডিম উৎপাদনের দিক থেকে আমেরিকা শীর্ষে এরপর চীন দুই নম্বরে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০-২১ সালে ভারতে ১২২.০৫ বিলিয়ন ডিম উৎপাদিত হয়েছিল।
অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হয়। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানা ডিম খাওয়ার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে। একটি রিপোর্ট অনুসারে, শুধুমাত্র হায়দ্রাবাদেই প্রতিদিন ৭৫ লক্ষ ডিম খাওয়া হয়।
ভারতে দ্রুত চাহিদা বাড়ার সুযোগ নিচ্ছে নকল ডিমের ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক বছরে বাজারে নকল ডিম বিক্রির ঘটনা দ্রুত বেড়েছে। আপনি যদি নকল এবং আসল ডিমের মধ্যে পার্থক্য জানতে চান তবে প্রথমে এর উজ্জ্বলতা যাচাই করুন। একটি নকল ডিম আসল ডিমের চেয়ে উজ্জ্বল। ডিমের উজ্জ্বলতা দেখে বেশিরভাগ মানুষই বিভ্রান্ত হয়ে আসল ডিম বলে কিনে নেয়।
আসল ও নকল ডিমের মধ্যে পার্থক্য করবেন কিভাবে?
নকল ডিম তৈরিতে এর খোসার জন্য প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। এই কারণে নকল ডিম আগুনের কাছে রাখলে তা থেকে প্লাস্টিকের পোড়া গন্ধ বের হবে। এতে আগুনও লেগে যেতে পারে। কিন্তু, আসল ডিম কখনই আগুনে পুড়ে যাবেনা।