রান্নায় আদার ব্যবহার অপরিহার্য। এই আদা একটি গুণসমৃদ্ধ মশলা।
আদা চায়ের উপকারিতা খুব। অনেক রকম অসুখ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে আদা। আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হিসেবেও পরিচিত।
সর্দি লাগলেই আদা দিয়ে লাল চা পান, গলায় খুশখুশে কাশি থামাতে কিংবা বমিভাব ঠেকাতে কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়া হয়। আমরা প্রায়ই প্রচুর পরিমাণে কিনে থাকি কিন্তু শুকনো এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তা ফেলে দিতে হয়।
আদা সংরক্ষণ নিয়ে সমস্যায় পড়েন মানুষ। প্রতিদিন আদা কিনতে বাজারে যাওয়াও ঝামেলা মনে করেন অনেকে।
খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও পরিচর্যা করলে ফল বা মশলাজাতীয় খাবার বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায়। কি ভাবে?
আদা কেনার সময় টাটকা দেখে কিনবেন। তাজা আদার মসৃণ ত্বক ও একটি দৃঢ় টেক্সচার থাকে। কেনার সময় সেটা দেখে আদা বাছাই করুন। টাটকা আদা আকারে বড় ও ভারী হয়। নরম, কুঁচকানো বা ছাঁচ দেখা যায় এমন টুকরোগুলো এড়ানোর চেষ্টা করুন কেনার সময়।
বাজার থেকে শাক-সবজি এনে ফ্রিজে রাখার আগে নিশ্চয়ই ভালো করে ধুয়ে তারপর রাখেন। এমনটা করতে পারেন আদার ক্ষেত্রেও। ফ্রিজে রাখার আগে আদা ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর মুছে ফ্রিজে রাখুন। আদা সহজে পচবে না, ভালো থাকবে অনেকদিন। কখনোই ফ্রিজের অন্যান্য শাক-সবজি বা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে রাখবেন না।
কাগজের ব্যাগ বা কাগজের তোয়ালেতে আদা সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর এটি রেফ্রিজারেটরে রাখুন। নিশ্চিত করুন যে টুকরাগুলি যাতে সঠিকভাবে মোড়ানো হয়। এটা যেন কোন ভাবেই বাতাস এবং আর্দ্রতার সংস্পর্শে না আসতে পারে।
আদা ছিলে নিলে এর স্থায়িত্ব কমে যায়। কারণ বাতাসের অক্সিজেনের সরাসরি সংস্পর্শে আসবে। এক্ষেত্রে খোসা ছাড়ানো আদার টুকরাগুলো প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়িয়ে নিতে হবে শক্ত করে। ফ্রিজের ড্রয়ারে রাখতে হবে।
আস্ত আদা ডিপ ফ্রিজে রাখলে তা পাঁচ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে। মনে রাখতে হবে ডিপ ফ্রিজে রাখার আগে আদা ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। আর রাখতে হবে বায়ুরোধক ব্যাগ বা কৌটায়। আদা বেটেও রাখা যায়।