মাস্কের টুইটার কেনার আগে থেকেই ধারণা করা হয়েছিলো, টুইটারে অর্ধেক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করে সংস্থাটি। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত টুইটারের হেড অফিস।
এত কর্মী ছাঁটাই নিয়ে খুব একটা আক্ষেপ নেই মাস্কের। তিনি টুইট করে বলেন, যখন সংস্থা দৈনিক ৪০ লক্ষ ডলারেরও বেশি আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, তখন কর্মী ছাঁটাই করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শুক্রবার টুইটার তাদের ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে। শনিবার থেকেই আর বিতাড়িত কর্মীরা অফিসে ঢুকতে পারবেন না। অ্যাক্সেস থাকবে না অফিসের কম্পিউটার ও ইমেইলেরও। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিভিন্ন দেশে টুইটারের যে অফিস রয়েছে, প্রত্য়েক অফিস থেকেই ছাঁটাই করা হয়েছে কর্মীদের।
কর্মী ছাঁটাই নিয়ে বিক্ষোভ-সমালোচনা শুরু হওয়ায় টুইট করেন এলন মাস্ক। শুক্রবার বিকেলে তিনি টুইট করে বলেন, টুইটারের কর্মক্ষমতা কমানো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সংস্থা প্রতিদিন ৪০ লক্ষ ডলারের বেশি খোয়াচ্ছে, দুঃখজনকভাবে তখন আর কোনও উপায় থাকে না। যাদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাদের ৩ মাসের বেতন দেয়া হবে, যা আইনত নিয়মের ৫০ শতাংশ বেশি।
টুইটারের আয়ে বিশাল ধস নামার জন্য সমালোচক ও প্রতিবাদী গ্রুপগুলোকে দায়ী করেছেন তিনি। মাস্কের অভিযোগ, কর্মী ছাঁটাই নিয়ে সমালোচকদের চাপেই টুইটারকে অর্থপ্রদান থেকে পিছু হটছেন বিজ্ঞাপনদাতারা।
টুইটারের কর্মী ছাঁটাইয়ের আগেই সংস্থার সমস্ত কর্মীদের এই বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। শুক্রবার সকালেই টুইটারের অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়। কর্মীদের জানিয়ে দেয়া হয়, অফিসে আসতে হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টুইটার কর্মীরা জানিয়েছেন, সংস্থার তরফে অত্যন্ত অমানবিক ব্যবহার করা হয়েছে। টাকা বাঁচানোর জন্য রাতারাতি একসঙ্গে কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। ছবিঃ সংগৃহীত।