লিটন কুমার দাসের ঝড়ে প্রথম ৭ ওভারে বাংলাদেশ বিনা উইকেটে ৬৬ রান তোলে।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে দীর্ঘ সময়। তাতেই ছন্দ পতন বাংলাদেশের। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের সামনে নতুন লক্ষ্যে ১৬ ওভারে ১৫১ রানের। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। হাত ফসকে বেরিয়ে গেল ভারতকে হারানোর সুযোগটি।
বাংলাদেশ হারল ৫ রানে।
লোকেশ রাহুল আর বিরাট কোহলির জোড়া ফিফটিতে ভর করে বড় সংগ্রহই পেয়েছে ভারত। ৬ উইকেটে তুলেছে ১৮৪ রান।
অ্যাডিলেড ওভালে আজ টসভাগ্য সহায় ছিল বাংলাদেশের। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক।
তাসকিন আহমেদকে দিয়ে বোলিং ইনিংস উদ্বোধন করেন সাকিব। শুরুটা বেশ ভালোই করেন। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান নিতে পারে ভারত। দ্বিতীয় ওভারে শরিফুলকে ছক্কা হাঁকান লোকেশ রাহুল। ওই ওভারে ৯ রান।
ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ভারতীয় অধিনায়কের ক্যাচ হাত ফস্কে যায় হাসান মাহমুদের।
হাসানের হাতেই বল তুলে দেন সাকিব। দ্বিতীয় বলেই রোহিত শর্মাকে তুলে নেন হাসান। ক্যাচ ফেলার প্রায়শ্চিন্ত করেন দারুণ এক ডেলিভারিতে।
হাসানের অফস্টাম্পে করা শর্ট ডেলিভারি আপারকাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ইয়াসির আলির ক্যাচ হন রোহিত (৮ বলে ২)। দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। সবমিলিয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৩৭ রান তোলে রোহিতের দল।
ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে পাওয়ার প্লেতে আটকে রাখার কাজটা ভালোভাবেই করেন তাসকিন।
ডানহাতি এই পেসারকে ইনিংসের ৭ ওভারের মধ্যে ৪ ওভার বল করিয়ে ফেলেন সাকিব।
দ্বিতীয় উইকেটে লোকেশ রাহুল আর বিরাট কোহলি ৩৭ বলে গড়েন ৬৭ রানের ঝোড়ো জুটি। ৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেন রাহুল। এরপর আর টিকতে পারেননি। সাকিবের ঘূর্ণিতে শর্ট ফাইন লেগ আকাশে তুলে দেন বল, ক্যাচ নেন মোস্তাফিজুর রহমান। রাহুলের ঝোড়ো ইনিংসে ৩টি চারের সঙ্গে ছিল ৪টি ছক্কার মার।
সূর্যকুমার যাদব বরাবরই ভয়ংকর ব্যাটার। বাংলাদেশের বিপক্ষেও জ্বলে উঠছিল তার ব্যাট। শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। ১৬ বলেই ৪ বাউন্ডারিতে ৩০ রান তুলে ফেলা এই ব্যাটারকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন সাকিব আল হাসান।
হার্দিক পান্ডিয়াও সুবিধা করতে পারেননি। ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই তাকে ফেরান হাসান মাহমুদ। বাউন্সি ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ইয়াসিরকে সহজ ক্যাচ দেন হার্দিক (৬ বলে ৫)। ১৩০ রানে ভারত হারায় ৪ উইকেট।
৩৭ বলে ফিফটি করেন কোহলি। শরিফুলের ওই ওভারেই রানআউট হন দিনেশ কার্তিক (৫ বলে ৭)। তবে কোহলি অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত।
শরিফুল ইসলাম বলতে গেলে একাই ডুবিয়ে দিয়েছেন দলকে। একাদশে সুযোগ পেয়ে ৪ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য এই পেসার। ছবিঃ সংগৃহীত।