মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারকে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে কিনে নেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও যুক্তরাষ্ট্রের গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক।
মাস্কের টুইটার কেনার আগে থেকেই ধারণা করা হয়েছিলো, টুইটারে একাধিক পরিবর্তন করবেন। এলন মাস্ক নিজেও জানিয়েছিলেন, ব্যবহারকারীদের মধ্যে টুইটারকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য তার একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে।
মঙ্গলবার তিনি টুইটারে একাধিক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন, এরমধ্যে সবথেকে বড় পরিবর্তন হল টুইটারে ‘ব্লু টিক’ ও তার জন্য খরচ।
মঙ্গলবার এলন মাস্ক নিজেই টুইটারের পরিবর্তনগুলির কথা টুইট করে জানান। তিনি জানান, এবার থেকে টুইটার ব্যবহারকারীরা চাইলেই নিজেদের অ্যাকাউন্টকে ‘ভেরিফায়েড’ করাতে পারেন। তবে ফ্রিতে নয়, টুইটার অ্যাকাউন্টে নামের পাশে ‘ব্লু টিক’ যোগ করতে প্রতি মাসে খরচ করতে হবে গ্রাহকদের। প্রতি মাসে ৮ ডলার খরচ ধার্য করা হয়েছে অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করানোর জন্য। বিভিন্ন দেশের ক্রয় ক্ষমতার উপর নির্ভর করে এই দাম বা খরচ নির্ধারণ করা হবে বলেই বলেছেন মাস্ক।
টুইটারে এলন মাস্ক লেখেন, টুইটারের বর্তমান রাজা ও প্রজার ব্যবস্থা, যা কার অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক রয়েছে, কার নেই-তার উপরে নির্ভর করে, তা অত্যন্ত বেকার। এবার সকলকে ক্ষমতা দেয়া হল! প্রতি মাসে ৮ ডলারের বিনিময়ে অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক যোগ করা যাবে।
খরচের কথা উল্লেখ করলেও, কীভাবে এই খরচ নির্ধারণ করা হবে বা কোনও দেশের ক্রয় ক্ষমতা ধার্য করা হবে, সেই বিষয়ে কিছুই জানাননি মাস্ক। তবে অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক থাকলে টুইটার ব্যবহারকারীরা একাধিক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলেই জানিয়েছেন।
এলন মাস্কের দাবি অনুযায়ী, অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড হলে ও ব্লু টিক থাকলে, ব্যবহারকারীরা রিপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্যতা পাবে। কেউ ‘মেনশন’ করলে বা ‘সার্চ’ করলেও ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টগুলি আগে দেখাবে।
লম্বা ভিডিও বা অডিয়ো পোস্ট করা যাবে। অর্ধেকেরও কম বিজ্ঞাপন দেখতে হবে ভেরিফায়েড টুইটার ব্যবহারকারীদের। যারা টুইটারের সঙ্গে কাজ করতে চান, তারা ‘পেওয়াল বাইপাস’-এর সুবিধা পাবেন।
উল্লেখ্য, টুইটার অ্যাকাউন্টটি আসল ও বিশ্বাসযোগ্য হিসাবে প্রমাণিত করে এই ‘ব্লু টিক’।
সূত্রঃ এনডিটিভি ছবিঃ সংগৃহীত।