‘নর কঙ্কাল’, ‘পাটখড়ি’, কত কিছু, শেষ নেই ট্রোলিং এর। সামান্য খোলামেলা পোশাকে ছবি তুলে পোস্ট করতেই ধেয়ে আসে কুখ্যাত কমেন্টের ঝড়। কেউ এটাও লিখছেন, ‘আপনি কিন্তু ঘী এর অ্যাড করতে পারেন, অবশ্যই সেটা নকল ঘী হতে হবে।’
হতভম্ব করে দেওয়ার মতন কমেন্টের ভিড়ে আরও জেদ চেপে যায় অভিনেত্রী মিশমি দাসের (Mishmee Das)। সোশ্যাল মিডিয়ায় যতই নোংরা কমেন্ট আসুক না কেন, যতই বডি শেমিং হোক, তার বিকিনি ছবি পোস্ট করা থেকে কিছুতেই বিরত থাকবেন না, সেই জন্যে মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বিকিনি ছবি পোস্ট করেন।
কিছু মাস আগে অভিনয় জগৎ থেকে বিরতি নিয়ে মেডিটেশন, গোয়া, সমুদ্র নিয়ে ছিলেন কিছুদিন অভিনেত্রী মিশমি। ফেরেন পুরোনো খল নায়িকা চরিত্রে, একই ধারাবাহিকে। মিশমি বেশ কিছু বিকিনি ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিনেত্রীকে এমন লুকে দেখে অনেকেই অবাক হন, সেইসময় মিশমিকে ‘রেড লাইটের মেয়ে’ বলেও কেউ কেউ নিন্দা করেন।
তখন অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়াতে মুখ খোলেন। তিনি লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমি পর্দায় নেতিবাচক চরিত্র করি, রিনি চরিত্রটা অসহ্যকর, তাই হওয়ার কথা। যখন এটা আমাকে কেউ বলে আমি দুঃখ পাই না, উলটে ভাবি আমি হয়তো চরিত্রটা জাস্টিফাই করতে পারছি। গল্পের জন্য, চরিত্রটা চিত্রনাট্য অনুযায়ী ফুটিয়ে তোলবার জন্য আমাকে কিছু পোশক এবং মেক-আপ করতে হয়। সেটা সবার সবারমতো করে ভালো-খারাপ লাগতেই পারে। কিন্তু এর জন্য আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে আপনারা আপনাদের লালন-পালন এবং শিক্ষার পরিচয় দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। আমার ছিঁটেফোঁটাও ক্ষতি হচ্ছে না। বাস্তব আর সিরিয়ালের মধ্যেকার পার্থক্যটা বুঝতে শিখুন। আর স্মার্টফোন আছে মানেই যা ইচ্ছে তাই লিখবেন না। আমরা পর্দায় অভিনয় করি, কিন্তু আমরাও মানুষ’।
কথায় বলে স্বভাব যায় না মলে, মরলেও স্বভাব যায় না। যারা নিন্দুক তারা নিন্দা করবেই। শুধু মিশমি দাস একা নন, প্রায় সমস্ত অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং এর শিকার হন, কেউ জবাব দেন তো কেউ একেবারে এড়িয়ে যান।মিশমি ব্যাপারটা পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়েছেন, মাঝে মধ্যেই তিনি খোলামেলা ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়
View this post on Instagram