এশিয়ার অন্যতম দূষিত শহর বলা হয় দিল্লিকে।
দীপাবলিতে সেই দূষণের মাত্রা আরও হাতের বাইরে চলে যায়। সেই কারণে গত কয়েক বছর ধরেই দীপাবলিতে বিভিন্ন ধরনের আতস বাজি তৈরি, বিক্রি ও পোড়োনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দিল্লির আপ সরকার।
আতসবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জমা পড়লেও সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।
সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রাজধানীর আকাশে দেখা গেছে আলোর ঝলকানি।
দিল্লির প্রশাসনের কড়া নির্দেশিকা, সুপ্রিম কোর্টের আর্জি সব কিছুকেই উপেক্ষা করে দিল্লিবাসী দীপাবলির রাতে গা ভাসিয়েছে আনন্দে। ফলে নিজের শহরের বাতাস দূষিত হয়েছে আরও বেশি।
সোমবারই দিল্লির বাতাসের গুণমান খারাপ অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার উপর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধা থেকেই দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে আতস বাজি ফাটানোর শব্দ পাওয়া যায়।
নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞা করে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে এনেছেন দিল্লির বাসিন্দারা।
এখন সেখানে একিউআই ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে। যা খুব খারাপ মানকেই নির্দেশ করে। দিল্লিতে কোনও মানুষ রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকলে তার শ্বাসের সমস্যা হতে পারে। একিউআই ৪০১ থেকে ৫০০ -র মধ্যে থাকলে তা সঙ্কটজনক বলে বিবেচিত হয়। সেই বিপদসীমার মাত্র এক ধাপ উপরেই রয়েছে।
একিউআই ৪০১-৫০০ এর মধ্যে থাকলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ বোধ করতে পারেন, ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর অসুস্থ মানুষদের কথা তো এখানে না বলাই ভাল। এমনিতেই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে। এরপর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উৎসবের আনন্দে আত্মহারা হয়ে দিল্লিবাসী যে বিপদ নিজেরাই ডেকে এনেছেন তাতে নিজেরাই যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
শুধু দিল্লি নয়, দীপাবলির পর সব শহরেই একিউআই মোটামুটি অনেকটা নেমে গেছে। মুম্বাইতে সোমবার সকালে যেখানে একিউআই ছিল ২০০-র নীচে সেখানে মঙ্গলবার সকালে বেশ কিছু মনিটরিং স্টেশনে একিউআই ২০০-র বেশি দেখা গেছে। কলকাতা এক্ষেত্রে অনেকটা ধাপ এগিয়ে রয়েছে। কলকাতার প্রায় বেশিরভাগ মনিটরিং স্টেশনে একিউআই ভাল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
সূত্রঃ এনডিটিভি। ছবিঃ সংগৃহীত।