সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে উচ্চতর বেতনের দাবিতে মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ধর্মঘট শুরু করেছে ফরাসি ট্রেড ইউনিয়নগুলো। মে মাসে পুনর্নির্বাচনের পর থেকে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি।
ফ্রান্সের কট্টর বামপন্থী দল লা ফ্রান্স ইনসৌমাইসের শীর্ষ নেতা জ্যঁ-লুক মেলেনশনের নেতৃত্বে ফ্রান্সের শিক্ষা ও পরিবহন খাতের ট্রেড ইউনিয়নগুলো এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
ধর্মঘটের কারণে মঙ্গলবার থেকেই বন্ধ রয়েছে ফ্রান্সের সব স্কুল। প্রধান গণপরিবহন রেল ও মেট্রোরেলের চলাচল ৫০ শতাংশ কমে গেছে। ধর্মঘটের কারণে প্যারিস ও লন্ডন রুটে চলাচলকারী কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শোধনাগারগুলিকে ব্যাহত করেছে এবং পেট্রোল স্টেশনগুলির সরবরাহকে ব্যাহত করেছে।
ধর্মঘটের কারণে ফ্রান্সের ১০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন এফএনএমই-সিজিটি ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধি। তিনি আরও বলেন, ১৩টি রিয়্যাক্টরে রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ফের বিলম্ব ঘটছে আর এতে ফ্রান্সে বিদ্যুৎ উৎপাদন মোট ২ দশমিক ২ গিগাওয়াট হ্রাস পেয়েছে।
উল্লেখ্য, উচ্চ মজুরির দাবিতে ফ্রান্সের তেল শোধনাগারগুলোর কর্মীরা কয়েক সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট পালন করছে আর তার ধারাবাহিকতায়ই এবার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক ধর্মঘটে ফ্রান্সের প্রধান তেল শোধনাগারগুলোর কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে এবং পেট্রল পাম্পগুলোতে সরবরাহে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
ফ্রান্সের অন্যতম প্রধান শ্রমিক সংগঠন সিজিটি বহুজাতিক জ্বালানি ও পেট্রলিয়াম কোম্পানি টোটালএনার্জিসে চতুর্থ সপ্তাহের মতো ধর্মঘট অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
কোম্পানিটি মজুরি ৭ শতাংশ বাড়ানো ও শুক্রবার বোনাসের ঘোষণা দিয়ে অন্য ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, সিজিটি মজুরি ১০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি করেছে, তাদের যুক্তি, একদিকে মুদ্রাস্ফীতি চলছে অপরদিকে কোম্পানিটি বিপুল মুনাফা করেছে।
সরকারের মুখপাত্র অলিভিয়ার ভেরান বলেন, আমরা মজুরির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি, শ্রীঘই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।
সূত্রঃ রয়টার্স, আলজাজিরা। ছবিঃ সংগৃহীত।