Sexual Harassment: পুলিশের যৌন হেনস্তার অভিযোগ, ইরানে বিক্ষোভের মধ্যেই

Published By: Khabar India Online | Published On:

ইরানে বিক্ষোভরত এক তরুণীকে আটকের সময় দাঙ্গাবিরোধী পুলিশ তার উপর যৌন হামলা চালিয়েছে এমন একটি ভিডিও ঘিরে তীব্র ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।

সামাজিক মাধ্যমেগুলোর আক্সেস সীমিত করে রাখা সত্ত্বেও ইরানের নাগরিকরা অনেকেই বিক্ষোভের খুবই প্রভাবশালী ছবি ব্যাপকভাবে শেয়ার করে যাচ্ছেন।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মারা যান মাসা আমিনি। যথাযথভাবে হিজাব না পরায় ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে তাকে ইরানের ‘নৈতিকতা পুলিশ’ গ্রেপ্তার করেছিল।পুলিশের হেফাজতে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনদিন কোমায় থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই কুর্দি তরুণী।

আরও পড়ুন -  Short Film: ঘনিষ্ঠ দৃশ্য উঠে এলো এই শর্ট ফিল্মে ফুলশয্যার, দরজা জানালা বন্ধ করে দেখবেন একলা

 ইরানের ভেতরে ও বাইরে অনেকে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সবশেষ যে ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সেটি ঘটেছে বুধবার তেহরানের আর্জেন্টিনা স্কয়ারে। এতে দেখা যাচ্ছে হেলমেটসহ সুরক্ষা সামগ্রী পরিহিত একদল পুলিশ প্রধান সড়কেই একজন নারীকে ঘিরে আছে।

 একজন তার গলা চেপে ধরেন এবং তাকে অন্তত দু ডজন পুলিশের ভিড়ের মধ্যে নিয়ে যান, যাদের অনেকে মোটরসাইকেলে বসা ছিলো।

ওই নারীকে একটি বাইকের দিকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিলো তখন আরেকজন কর্মকর্তা পেছন দিক থেকে তার দিকে এগিয়ে আসেন, তার হাতের গোড়ায় চেপে ধরেন। ওই নারী যখন পড়ে যান মাটিতে তখন আরও কর্মকর্তারা তাকে ঘিরে ধরেন।

আরও পড়ুন -  China: জাতিসংঘের আহ্বান, চীনে বিক্ষোভকারীদের আটক না করার

একটি ক্যামেরায় তোলা ভিডিওতে একটি নারী কণ্ঠকে বলতে শোনা যায় “ওরা তার চুল ধরে টানছে”।

সেখানে অন্য যানবাহনের চালকেরা তখন একযোগে হর্ন বাজাতে শুরু করেন যা এবারের বিক্ষোভে সারাদেশে প্রতিবাদের একটি ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ওই নারীর মাথায় হিজাব বা স্কার্ফ ছিলো না। এক পর্যায়ে তাকে দাঁড়াতে দেখা যায় ও পরে তিনি দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন -  'Abdar': সুরুচি সংঘের পুজোর থিম ‘আবদার’

তেহরান পুলিশের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

পুলিশের বিবৃতিতে অবশ্য ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তারা বলেছে, “শত্রুরা মানসিক যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করছে জনমনে উদ্বেগ তৈরি করতে ও সহিংসতাকে উস্কে দেয়ার জন্য”।

ঘটনা হলো বিষয়টি ঘটেছে প্রকাশ্যে যা মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি করেছে যে তাহলে পুলিশ রুদ্ধদ্বার কক্ষে কি করে।

সূত্রঃ বিবিসি। ছবিঃ সংগৃহীত