কেউ বুঝতেই চাইছে না। ভালো কথা বলতে গেলেও মানুষ বুঝছে উল্টো। মানুষ কটু কথা শুরু করছে, যা ইচ্ছা তাই বলছে। আর কতদিন সহ্য করা যায়? এমনই কপাল ‘রান্নাঘর’ (Rannaghar) এর রানী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের (Sudipa Chatterjee)।
সম্প্রতি, সুদীপা তাঁর কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, ‘আমার নবমী লুক অনেকেই পছ্ন্দ করেছে, এবার আমি এই লুক তৈরি করব আপনাদের জন্য। যেটা হতে পারে দিওয়ালি লুক। একটি তসর বেনারসি শাড়ি ও সঙ্গে দুটো নেকলেসের সেট যেটা ব্রোঞ্জ ও কপার দিয়ে তৈরি, সোনার পালিশ(আমারটা সোনার, মাত্রাতিরিক্ত দামি), তবে ডিজাইন ও মেকিং একই হবে কারণ দুটোই একই দক্ষিণ ভারতীয় কারিগরকে দিয়ে তৈরি হবে।’
সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের করা পোস্ট ঘিরে কেউ লিখেছেন, “সুদীপা দিদির অনেক সোনা আছে, এটা কি উনি জানাতে চায়?” কেউ লিখেছেন, “সোনা কেনার ক্ষমতা আপনার একার নেই। মানুষকে আন্ডারএস্টিমেট কম করুন। সবাই তো আপনার মতো হঠাৎ করে বড়লোক হয়নি, তাই এরম শো্ অফ করার দরকার পড়েনা। যারা সত্যি বিত্তবান তারা সোনা সোনা করে চেঁচিয়ে বেড়ায় না।” কেউ কেউ এও বলেছেন, “শিক্ষা কম থাকলে যা হয় আর কি। নৈতিক শিক্ষার কথা বলছি। সোনা গয়না বা ধন দৌলত জাহির করার বস্তু না। কিন্তু জ্ঞান ধারণা কম থাকলে কথায় কথায় মানুষ তা ব্যক্ত করে। প্রাচুর্য্য থাকতেই পারে কিন্তু তা দেখিয়ে কি হবে ? বাকিদের থেকে একটু বড় হতে পারবেন, এই ভাবেন কী?” (বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের কমেন্ট সেকশনে এই সমস্ত নেগেটিভ মন্তব্য আর দেখা যাচ্ছে না কিছু কিছু ছাড়া। সম্ভবত কমেন্টগুলা ডিলিট করা হয়েছে)।
এর আগেও সুদীপা বহুবার তার সোনা গয়না শাড়ি নিয়ে কটাক্ষের মুখোমুখি হয়েছেন। কিছুদিন আগে ডেলিভারি বয়কে বলা কিছু কথা সুদীপার বিপরীতে কাজ করেছে। বারবার সমালোচিত হতে হতে সুদীপা এখন ট্রোলিং রানী হয়ে উঠেছেন।