ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের জার্মান দূতাবাসে সোমবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার একদিন পরই ইউক্রেনকে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেয়ার ঘোষণা করেছে।
গত জুন মাসে ইউক্রেনকে জার্মান এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেয়ার কথা বলেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস। বছরের শেষের মধ্যে তা দেয়া হবে বলে ঠিক হয়েছিল। সম্প্রতি রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের শহরগুলিতে নতুন করে মিসাইল আক্রমণ শুরু করায়, এখনই এই অস্ত্র ইউক্রেনকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যামব্রেখট বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষের উপর যেভাবে আক্রমণ শুরু করেছে, দ্রুত এই ডিফেন্স সিস্টেম দেয়া প্রয়োজন। কয়েকদিনের মধ্যেই ইউক্রেন পেয়ে যাবে।
প্রাথমিকভাবে চারটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেয়ার কথা জার্মানির। তারমধ্যে প্রথমটি এই সপ্তাহের মধ্যেই পেতে পারে ইউক্রেন।
জার্মানি আইআরআইএস-টি-এসএলএম এয়ারডিফএন্স সিস্টেম পাঠাচ্ছে ইউক্রেনকে। এর সাহায্যে মাটির উপর ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে ধেয়ে আসা মিসাইল আটকে দেওয়া যায়। মিসাইলের গতিপথ পরিবর্তন করে দিতে পারে এই সিস্টেম।
কিয়েভ ও অন্যান্য শহরে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনের সুরক্ষার জন্য আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলছে, বাইডেন ইউক্রেনকে উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহ আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাইডেন জেলেনস্কিকে আরও বলেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র এবং অংশীদাররা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর যে কয়েকটি দেশ ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশি সমরাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে, তার মধ্যে জার্মানি অন্যতম।
রাশিয়া ইউক্রেনে মিসাইল আক্রমণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ক্রাইমিয়া ব্রিজে বিস্ফোরণের পর রাশিয়া মিসাইল আক্রমণ বাড়িয়েছে। কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের প্রায় প্রতিটি বড় শহরেই তারা লাগাতার মিসাইল আক্রমণ করছে। জার্মানির এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইউক্রেনকে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রঃ রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে। ছবিঃ সংগৃহীত।