Mahsha Amini: চতুর্থ সপ্তাহে গড়াল, ইরানে বিক্ষোভ

Published By: Khabar India Online | Published On:

 মাশা আমিনির মৃত্যু পরবর্তী প্রতিবাদ বিক্ষোভ চতুর্থ সপ্তাহে পড়েছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে ইরানে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত রয়েছে।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ১২০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  বিক্ষোভকারীদের যারা মদত দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার বার্তা দিয়েছে ইরান সরকার। আগে বিক্ষোভ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে হুশিয়ারী দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইস।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মারা যান মাসা আমিনি। ঠিকমতো হিজাব না পরায় ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে তাকে ইরানের ‘নৈতিকতা পুলিশ’ গ্রেপ্তার করেছিল।

পুলিশের হেফাজতে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনদিন কোমায় থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এ কুর্দি তরুণী। মৃত্যুর পর তার জন্মস্থান কুর্দিস্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়।

আরও পড়ুন -  Jalebi Bai: সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে বোল্ডনেসের উল্লুর এই সিরিজ, ‘জালেবি বাই’এর ঝলক, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

 ৮০টি শহর ও নগরে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ এ পেট্রলের দাম নিয়ে হওয়া বিক্ষোভের পর দেশটির দেখা সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ এটি।

নারীদের জন্য ইরানে যে কঠোর পোশাক নীতি আছে, তা লংঘনের অভিযোগে ‘নীতি পুলিশের’ হাতে আটক হওয়ার তিনদিনের মাথায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনির মৃত্যু হয়। এর পরপরই সমগ্র ইরান বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

আরও পড়ুন -  Rahul Gandhi: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ অন্যান্য ঘটনার প্রতিবাদ করায়, রাহুল গান্ধীকে আটক করেছে পুলিশ

 শনিবার কুর্দিস্তানের পশ্চিমের প্রদেশে আমিনির শহর সাকেজে স্কুলছাত্রীরা মাথার ওপর স্কার্ফ উড়িয়ে ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ স্লোগান দিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে বলে রেকর্ড করা এক ভিডিও প্রকাশ করে বলেছে কুর্দিদের অধিকার নিয়ে কাজ করা গোষ্ঠী হেনগাও।

ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থাগুলো তেহরানে সামান্য পরিসরে বিক্ষোভের খবর দিয়েছে। এছাড়াও ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, রাজধানীর ১০টির মতো এলাকায় ‘সীমিত পরিসরে’ প্রতিবাদ দেখা গেছে।

মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানের রাষ্ট্রীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেল হ্যাক করেছে বিক্ষোভকারীরা। শনিবার লাইভ সংবাদ সম্প্রচারের সময় হ্যাকিংয়ের এই ঘটনা ঘটে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে করা এই হ্যাকিংয়ের ঘটনায় টেলিভিশনটির সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচার বাধাগ্রস্ত হয়। হ্যাকিংয়ে জড়িত ওই দলটি নিজেদেরকে ‘এদালাত-এ আলী’ বা আলীর বিচার বলে অভিহিত করেছে।

আরও পড়ুন -  Firework Smoke: দিল্লি আতশবাজির ধোঁয়ায় ঢেকেছে, একটি আবাসিক ভবনের অবস্থা

ইরানের রাষ্ট্র-চালিত ওই টেলিভিশনটি হ্যাকিংয়ের পর টেলিভিশনের পর্দায় একটি মুখোশ উপস্থিত হয়। পরে তার চারপাশে শিখাসহ সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির একটি ছবি দেখা যায়।

সূত্রঃ  আল জাজিরা, এএফপি। ছবিঃ সংগৃহীত।