বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ফের জেল হেফাজতে। বুধবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল।
সিবিআই এদিন দাবি করেন, অনুব্রত এতটাই প্রভাবশালী যে জেলে বসেও প্রভাব খাটাতে সক্ষম তিনি। অনুব্রতর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানালেও, তা খারিজ হয়ে যায়। ফলে পুজোর আগে জেল থেকে বেরনোর সম্ভাবনা নেই কেষ্ট মণ্ডলের।
আগামী ৫ অক্টোবর ও ১৯ অক্টোবর আসানসোল সিজিএম আদালতে এই মামলার শুনানি হবে। ২৯ অক্টোবর সিবিআই আদালত খোলার পর ফের শুনানি হবে।
বুধবার আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী জানিয়েছেন, দুটি এনজিওর সঙ্গে অনুব্রতর জরিত থাকার কথা সামনে এসেছে। খোঁজ মিলেছে ১৫ টি থেকে ১৯ টি নতুন সম্পত্তির। প্রচুর নগদ টাকাও পাওয়া গিয়েছে। এই দিন ফের অনুব্রতকে প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করে সিবিআই দাবি করে, জামিন দেওয়া হলে তদন্ত প্রভাবিত হবে।
অন্যদিকে, অনুব্রত সদ্য স্ত্রীকে হারিয়েছেন, তাই মানবিকভাবে বিচার করে জামিন দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তার আইনজীবী। তার দাবি, তার মক্কেল অসুস্থ, ৬৫-র বেশি বয়স, খাওয়া দাওয়া টয়লেটও স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন।
অনুব্রতর আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় ইতিমধ্যে অনেককেই জামিন দেওয়া হয়েছে। বিকাশ মিশ্র, আবদুল লতিফের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা পশুপাখির হাট চালাতেন বলে দাবি, তাদের গ্রেফতার করা হল না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্তে বোলপুরের বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। একাধিক জায়গা থেকে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবারই বোলপুরে ভারত সেবাশ্রম সংঘ থেকে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে সিবিআই। গরু পাচারের টাকা কী ভাবে খরচ হয়েছিল? তা জানতেই তৎপর কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সূত্রঃ আনন্দবাজার। ফাইল ছবি।