রাজকীয় রীতি মেনে কফিনটির গায়ে দেওয়া হয়েছে তামা ও সিসার পরত। কফিনটি বহন করবেন আটজন বাহক। সিসার পরত থাকায় কফিনের ভেতরে বাতাস ও আর্দ্রতা প্রবেশ করতে পারবে না।
কফিনে দীর্ঘ সময় ধরে দেহ সংরক্ষণ করা যায়। রাজকীয় এবং ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে রানি এলিজাবেথকে শেষবিদায় জানানোর আয়োজন করেছে ব্রিটেন। রানির শেষকৃত্যের আয়োজনে বিভিন্ন দেশের সম্রাট, রাজা-রানি, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদের মিলনক্ষেত্র হয়েছে।
সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রানিকে। রানির প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্ব শেষ হয়েছে। সোমবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
সব কিছু নিয়ম মেনে উইন্ডসর ক্যাসেলের সমাধিতে স্বামী ফিলিপের পাশে সমাহিত করা হবে। ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে সামান্য দূরত্বে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে। অতিথিদের প্রবেশের সুবিধার্থে সকালেই গির্জার গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
৯৬ বছর বয়সে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ৭০ বছরের রাজত্ব শেষ হল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। স্কটল্যান্ডের বালমোরালে মৃত্যুর পর তার জন্য তৈরি বিশেষ কফিনটি রাখা হয় সেখানকার সেন্ট জাইলস ক্যাথিড্রালে। রাজকীয় শোভাযাত্রা করে আনা হয় কফিনটি। রানির রাজত্বকালের মতোই কফিনটির মহিমাও রাজকীয়। গত বছর মৃত্যু হয়েছিল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপের। তার জন্য যে কফিনটি তৈরি করা হয়েছিল, রানির কফিনটি হুবহু এক রকমের। প্রিন্স ফিলিপকে লন্ডনের পশ্চিমে অবস্থিত উইন্ডসরের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলের রাজা ষষ্ঠ জর্জ মেমোরিয়াল চ্যাপেলে সমাহিত করা হয়েছিল। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকেও সেখানেই পাশেই সমাহিত করা হবে।
৩২ বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল কফিনটি। ইংলিশ ওককাঠ দিয়ে। রাজকীয় রীতি মেনে কফিনটির গায়ে রয়েছে তামা ও সিসার পরত।
কফিনটি কে তৈরি করেছিলেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ১৯৯১ সাল থেকে লন্ডনে রাজপরিবারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালনা করে আসছে ‘লেভারটন অ্যান্ড সন্স’।
কফিনের ভেতর রানির দেহের সঙ্গে বেশ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্রও রাখা হবে। বার্মিংহামের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কফিনটির পিতলের হাতল তৈরি করেছে। এটি বিশেষভাবে রাজকীয় ক্যাসকেটের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কফিনটি সম্পর্কে লেভারটন অ্যান্ড সন্সের মালিক অ্যান্ড্রু লেভারটন বলেন, এটি এমন এক কফিন, যা একদিনে তৈরি করা সম্ভব নয়। সূত্রঃ জি নিউজ। ছবিঃ ইন্টারনেট।