ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অধিকাংশ শিশুশিল্পী বড় হতে না হতেই অন্তর্হিত হয়ে যান। এই ঘটনার একাধিক উদাহরণ রয়েছে। একজন হলেন মাস্টার রিন্টু দে (Master Rintu Dey)। তাঁর প্রকৃত নাম সজল দে (Sajal Dey) হলেও ডাকনাম রিন্টু নামেই তিনি পরিচিত টলিউডে।
‘পথ ও প্রাসাদ’ ফিল্মে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। টলিউডে শতাধিক ফিল্মে অভিনয় করেছেন মাস্টার রিন্টু।
সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে মাস্টার রিন্টুর সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে। একসময় সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy)এর সাথে তাঁকে বহু ফিল্মে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। ‘তুমি কত সুন্দর’ ফিল্মের মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন রিন্টু। অভিনয় করতেন প্রসেনজিৎ (Prasenjit Chatterjee)র শৈশবের চরিত্রে।
অভিনয় করেছেন তাপস পাল (Tapas Pal)এর ছেলের চরিত্রে। উৎপল দত্ত (Utpal Dutta)র সাথে।রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick) অভিনীত ফিল্ম ‘শত্রু’-তে ছোট্টুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রিন্টু। অভিনয় করেছেন ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘মঙ্গলদীপ’ সহ একাধিক ফিল্মে। বড় হওয়ার পর রাজা চন্দ (Raja Chanda), রবি কিনাগী (Rabi Kinagi)দের ফিল্মে রিন্টুকে দেখা গেছে নায়কের বন্ধু অথবা নায়িকার ভাই হিসাবে।
ইন্ডাস্ট্রি থেকে একপ্রকার হারিয়ে গিয়েছেন রিন্টু। নায়কের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগও তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। নবাগত নায়কের তুলনায় নায়কের বন্ধু বেশি ভালো অভিনয় করলে ফিল্ম হিট হবে না, এই ভয়ের বলি হয়েছেন রিন্টু।
সমসাময়িক অভিনেতা সোহম (Soham Chakraborty)কে পরবর্তীকালে বাংলা ফিল্মে নায়কের চরিত্রে দেখা গেছে। এমনকি তিনি পেয়েছেন ‘মহানায়ক’ সম্মান। লকডাউনের সময় রিন্টুর হাতে ছিল না কাজ। অর্থাভাব দেখা দিয়েছিল সংসারে। না খেয়ে থাকলেও সেদিন কেউ ছিলেন না খোঁজ নেওয়ার। তবে সোহমের সাথে বরাবর রিন্টুর যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর প্রযোজনায় নির্মিত প্রজেক্টের অংশ ছিলেন তিনি।