Eiffel Tower: আইফেল টাওয়ার অন্ধকারে, ফ্রান্স বিদ্যুৎ বাঁচাচ্ছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুতের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। পরিস্থতি সামাল দিতে বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে উঠে পড়ে লেগেছে ফ্রান্স।

 শিল্প, গৃহস্থালি ও সরকারি দপ্তরগুলোতে বিদ্যুতের ব্যবহার ১০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ। আইফেল টাওয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলিতে এখন আগের থেকে অনেক আগেই আলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তার আলো বন্ধ করা হচ্ছে না।

এই পরিকল্পনার অধীনে পর্যটকদের হতাশ করে অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যাবে আইফেল টাওয়ারের আলো। প্যারিসের মেয়র অ্যান হিডালগো জানিয়েছেন, বিদ্যুতের ব্যবহার ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, স্বাভাবিক সময়ের থেকে আগেই আইফেল টাওয়ারের আলো বন্ধ করে দেয়া হবে।

আরও পড়ুন -  Saayoni Ghosh: কি বললেন সায়নী ? শাঁখা-সিঁদুর পড়ে ছবি পোস্ট করার পর

সাধারনত রাত একটা পর্যন্ত আলোকিত থাকত আইফেল টাওয়ার। প্রতি ঘণ্টায় একবার ২০ হাজার বাল্বের আলোয় ঝিলমিল করে ওঠে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাটি। মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখতে প্রতি বছর প্যারিসে ছুটে আসেন বহু পর্যটক। মায়াবী আলোয় আইফেল টাওয়ারের সৌন্দর্যে মোহিত হতেন পর্যটকরা। এখন ১১টা ৪৫ মিনিটেই বন্ধ করে দেয়া হবে আলো।

আরও পড়ুন -  রাজীব গান্ধীর নাম সরিয়ে, খেলরত্ন পুরস্কার নামাঙ্কিত করা হলো মেজর ধ্যানচাঁদ নাম অনুসারে

মেয়র জানিয়েছেন, প্যারিসে বিদ্যুতের খরচ এক কোটি ইউরো বেড়ে গেছে। ধাক্কা সামলাতেই ঠিক হয়েছে, শহরে অন্তত ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ কম খরচ করা হবে। আইফেল টাওয়ারে আলো আগে বন্ধ করে দিয়ে চার শতাংশ বিদ্যুৎ বাঁচবে। মেয়র আরও জানিয়েছেন, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সংযমের পরিকল্পনা পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে।

 পুলে তাপমাত্রা এক ডিগ্রি এক ডিগ্রি কমানো হবে। আগে তা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকত, এবার ২৫ ডিগ্রিতে থাকবে। সরকারি বাড়িতে হিটিংও কমানো হবে। ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা হবে।

আরও পড়ুন -  France: জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে মাখোঁ এবং শলৎস, ফ্রান্সে

উল্লেখ্য, ইইউ এখন রাশিয়ার গ্যাসের উপর থেকে নির্ভরতা কমাচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শিল্প, ঘরবাড়ি, পুরসভা তাদের বিদ্যুতের ব্যবহার ১০ শতাংশ কমাবে। তবে জার্মানি বা অন্য ইইউ দেশের তুলনায় রাশিয়ার গ্যাসের উপর ফ্রান্সের নির্ভরতা কম।

সূত্রঃ  ডয়েচে ভেলে। ছবিঃ সংগৃহীত।