স্বাস্থ্যভবন তালিকা দিল, বেসরকারি হাসপাতালে করা যাবে না এইসব রোগের চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও

Published By: Khabar India Online | Published On:

নির্বাচনী চমক হিসেবে মমতা সরকার বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিক জনমুখী প্রকল্প সাধারণ মানুষের জন্য শুরু করেছিল। এর অন্যতম ছিল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প।

নির্বাচনে ঘাসফুল শিবিরের জয়ের অন্যতম কান্ডারী ছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে শুরু করে লক্ষ্মী ভান্ডার যোজনা। রাজ্যের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতির কথা মাথায় রেখেই এমন প্রকল্প চালু করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হার্নিয়া, হাইড্রোসিল এবং দাঁতের চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণ জারি করল স্বাস্থ্য ভবন। স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে সব ধরনের হাইড্রোসিল অপারেশন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এর মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালে করাতে হবে।

আরও পড়ুন -  Swami Vivekananda: উদযাপিত হলো স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৯ তম জন্ম জয়ন্তী

 জানা গিয়েছে অসুখ জটিল না হলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে হার্নিয়ার অস্ত্র প্রচার সরকারি হাসপাতালে হবে। ক্যান্সার সার্জারি বা পথ দুর্ঘটনায় শিকার রোগীদের প্রস্থেসিস ছাড়া দাঁতের যাবতীয় চিকিৎসা, এবার থেকে সরকারি হাসপাতালেই করাতে হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এর মাধ্যমে। গত বৃহস্পতিবার এমনই অ্যাডভাইজারি জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। অ্যাপেন্ডিক্স চিকিৎসা করানোর জন্যও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  West Bengal: পশ্চিমবঙ্গে গুটখাসহ তামাকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ ঘোষণা

 হার্নিয়ার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে অবস্ট্রাকটেড হার্নিয়া, ইনকারসেটেড হার্নিয়া ও স্ট্যাঙ্গুলেটেড হার্নিয়া। এইসব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এর মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা করা যাবে। এছাড়া ম্যাক্সিওফেসিয়াল সার্জারি বা মুখের ক্যান্সারের সার্জারির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বেসরকারি হাসপাতালে প্রযোজ্য। তবে এর জন্য পেশ করতে হবে উপযুক্ত নথি।

আরও পড়ুন -  পার্থ ঘনিষ্ঠ একাধিক জেলার নেতারা, ইডির জালে ধরা পড়তে পারেন, লিস্ট তৈরি হচ্ছে

সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে খবরের শিরোনামে রয়েছে রাজ্য সরকারের আর্থিক অবস্থা। ভাঁড়ারে টান পড়ায় ঘুরপথে প্রকল্পের খরচে নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইছে মমতা সরকার।

স্বাস্থ্য দপ্তরের খবর অনুযায়ী, ২ কোটি ৩০ লাখ পরিবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত হওয়ায় বছরে খরচের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬০০-২৭০০ কোটি টাকা। শুধুমাত্র হার্নিয়া হাইড্রোসিলে সরকারের বছরে খরচ হয় ৭০-৮০ কোটি টাকা।