মেয়ের উপর নাকি মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে সিআইডি।
এমনই একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন সারদা কান্ডের অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা সর্বরী মুখোপাধ্যায়। সিআইডির ভূমিকা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে সিবিআই কে চিঠি দিয়েছেন শর্বরী মুখোপাধ্যায়।
২০১৪ সাল থেকেই দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দি হয়েছেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়। গত ২৩ আগস্ট দমদম জেলে এই মামলার তদন্ত সূত্রে দেবযানী কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ছয় কোটি টাকা করে নিয়েছেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে, একথা বলার জন্য নাকি দেবযানিকে চাপ দেয় সিআইডি। আজ সিবিআই এর কাছে অভিযোগ দায়ের করে এরকমটাই বলছেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়।
এই দুজনকে নাকি তার সামনে টাকা দেওয়া হয়েছে এমন কথা বলতেও চাপ দেওয়া হয়েছে। আরো দাবি করছেন, যদি একথা তিনি না বলেন তাহলে দেবযানিকে আরো কিছু মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে শাসিয়েছে সিআইডি। সিবিআইকে দেওয়া শর্বরীর ওই চিঠি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সমস্ত মহলে। যদিও সিআইডি তরফ থেকে এই সম্পূর্ণ অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করা হচ্ছে।
টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজে টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘একসময়ের মর্যাদা সম্পন্ন সিআইডি বাংলার পিসি ভাইপোর একটি দারোয়ানে পরিণত হয়েছে। ব্যানার্জিদের স্বার্থ রক্ষায় অপরাধকে ইন্ধন দিতে শুরু করেছে সিআইডি।’ একইভাবে এই চিঠির সাপেক্ষে বক্তব্য রেখেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলছেন, ‘যেকোনো ধরনের তদন্ত করতে পারে ওরা। দেশীয় আন্তর্জাতিক এজেন্সি যাকে খুশি দিয়ে তদন্ত করতে পারে, আমাদের তাতে কোনরকম আপত্তি নেই। এর জন্য আমরা হাসপাতালে ভর্তি হব না এবং আদালতের রক্ষাকবচ নেব না।
দশ বছর ধরে যিনি জেলে আছেন, তাকে চাপ দিচ্ছে সিআইডি। দুই, চার, আট বছরে মনে পড়লো না। একই রকমের চেষ্টা হয়েছিল ২০২১ এর নির্বাচনের আগে। তখন সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে অভিযোগ করানো হয়েছিল। এরা, ওরা নাকি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেখানে, বিমান বসু এবং আমার নামও বলা হয়েছিল। যে দল শূন্য, সেই শূন্য দল সিপিআইএমকে এত ভয় পাচ্ছে কেনো?’