বৃহস্পতিবার নিজেই আস্থা ভোট ডেকেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
সেই আস্থা ভোটে সহজেই জয় পেলেন কেজরিওয়াল। জানিয়ে দিলেন, মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরে গুজরাটে আম আদমি পার্টির (আপ) ভোটের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। যদি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার হন, তাহলে গুজরাটে আরও বেশি ভোট পাবে আপ। ফলে বিনা বাধায় সরকার গড়ে ফেলতে পারবে আম আদমি পার্টি।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
বৃহস্পতিবার আস্থা ভোটের আগে বিধানসভায় ভাষণ দেন কেজরিওয়ার। সেখানে তিনি বলেছেন, মণীশের বিরুদ্ধে সিবিআই অভিযোগ আনার পরে গুজরাটে আমাদের ভোট আগের চেয়ে ৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। মণীশ যদি গ্রেপ্তার হয়, তাহলে আরও ৬ শতাংশ ভোট বেড়ে যাবে আমাদের। যদি দু’বার মণীশকে গ্রেপ্তার করে, তাহলে নিঃসন্দেহে আমরাই গুজরাটে সরকার গড়তে চলেছি।
বিজেপিকে নিশানা করে কেজরিওয়াল বলেছেন, সকলেই জানে যে মণীশকে গ্রেপ্তার করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তো সেরকমই সার্টিফিকেট দিয়েছেন আমাদের। তাছাড়াও গ্রেপ্তার করা রাজনীতির অঙ্গ। এটা চলতেই থাকবে।
আপ বিধায়ক মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে আবগারি আইনে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি করেছে তদন্তকারী দল। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি সিবিআই। মণীশ জানান, বিজেপির তরফ থেকে তাকে আপ ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বিনিময়ে তাকে ২০ কোটি টাকা দেওয়া হবে এবং সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে। সিসোদিয়া এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পরে অন্য আপ বিধায়কদের এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিল আপ।
বিজেপির এই সক্রিয়তাকে ‘অপারেশন লোটাস’ বলে অভিহিত করে আপ। কেজরিওয়াল জানান, আপ বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেই কারণেই কোনও কারণ ছাড়াই দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোট করানোর ঘোষণা করেন কেজরিওয়াল। তীব্র ডামাডোলের পর বৃহস্পতিবার ৫৯ জন আপ বিধায়ককে নিয়ে দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোট হয়। সকলেই কেজরিওয়ালের পক্ষে ভোট দেন। ছবিঃ সংগৃহীত।