‘পুষ্পা দ্যা রুল’ নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই দর্শকমহলের। পরিচালক সুকুমার ছবি শুরুর আগের পুজো সেরে ফেলেছেন।
উপস্থিত ছিলেন রশ্মিকা মন্দনা , আল্লু অর্জুনের পাশাপাশি ফাহাদ ফাসিলের মতো দক্ষিণী তারকারাও। খবর মিলেছে, সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হতে পারে ‘পুষ্পা দ্যা রুল’এর শুটিং। এই ছবির শুটিং বাঁকুড়ার খাতরা অঞ্চলে হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। এই খবর জানার পর থেকেই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছেন বাঁকুড়াবাসী।
নেটপাড়াও উত্তাল হয়ে উঠেছে বাঁকুড়ায় পুষ্পার সিকুয়েন্সের শুটিংয়ের কথা শুনে। এক বাঁকুড়াবাসী তো আবদার করেই বসেছেন যেন অভিনেতা আল্লু অর্জুন তার সেই বিখ্যাত সংলাপ “পুষ্পা নাম শুনকে ফ্লাওয়ার সমঝে কেয়া? ফ্লাওয়ার নেহি ফায়ার হ্যায়” যাতে বাঁকুড়ার ভাষাতে বলে শোনান, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ট্রোল শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে কথাও বলা হয়েছিল বাঁকুড়া মিমসের উন্মেশ গাঙ্গুলীর সাথে।
সকলের প্রিয় ঘোতন বলেছেন, ছবির অভিনেতা যদি বাঁকুড়ার ভাষায় কথা বলেন তাহলে মন্দ হবে না। যদি অভিনেতা বাঁকুড়ার ভাষায় কথা বলেন তাহলে বাঁকুড়ার ভাষা জাতীয় স্তরে পৌঁছবে, যা সত্যিই আনন্দের ব্যাপার হবে। তিনি একথাও বলেছেন যে, তবে বাঁকুড়ায় শুটিং হলেও বাঁকুড়াকে বাঁকুড়া হিসেবেই দেখানো হবে কিনা! সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে, যা নিতান্তই অযৌক্তিক নয়। যদি কোন কাল্পনিক জায়গা হিসেবে বাঁকুড়াকে দেখানো হয় তাহলে বাঁকুড়ার ভাষা মটেই ব্যবহার করা সম্ভব নয় ছবিতে।
‘পুষ্পা দ্যা রাইজ’এর শুটিং হয়েছিল অন্ধপ্রদেশের মারেডুমিল্লির গভীর অরণ্যের মধ্যে। সেখানে শুটিংয়ের জন্য আলাদাভাবে রাস্তা তৈরি করে নেওয়া হয়েছিল। এবারে বাঁকুড়াতে শুটিং হলে সেই পথই অবলম্বন করতে পারেন পরিচালক। কারণ বাঁকুড়ার খাতরায় গহন অরণ্যের পাশাপাশি রয়েছে ঝরনাও। সেই জায়গাকে ছবির উপযুক্ত করে তোলার জন্য নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারেন ছবির কর্মকর্তারা।