রাজ্যেই রইল না সীমাবদ্ধ, এবারে ভিন রাজ্যেতে খোঁজ মিলল রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সম্পত্তির। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঝাড়খণ্ডের একটি হোটেলে হানা দিয়ে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা সেই হোটেল থেকে উদ্ধার করলেন বিপুল পরিমাণ টাকা।
হাজারীবাগের ওই হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল পরিমাণ টাকা যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই বলেই দাবি করছেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, হাজারিবাগের হোটেলে পার্থ ঘনিষ্ঠের কাছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ছিল। হোটেলে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা পৌঁছানোর আগে পলাতক হয়ে যান ওই ব্যক্তি।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় হেফাজতে রয়েছেন। একই মামলায় অভিযুক্ত দুইজনকে ১৯ আগস্ট শুক্রবার আদালতে তোলা হয়। তাদেরকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আদেশ দিয়েছিল আদালত।
আজকে ফের ওই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেল। ওই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং কার মাধ্যমে ওই টাকা পাচার করা হচ্ছিল সেটা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আদালতে ইডির আইনজীবী দাবি করেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তদন্তে সহযোগিতা করেননি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে পাওয়া এত বিপুল পরিমাণ অর্থের মূল উৎস কোথায় সেটা জানতে চাইলেও মুখ হলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তার ফোন থেকে জীবনবিবাহ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। পার্থকে সরেজমিনে জিজ্ঞাসাবাদের পর, তার বয়ানের কাগজে সই করতে গেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ।
ইডি সূত্রে খবর, প্রাক্তন মন্ত্রীর ফোন বাজেয়াপ্ত করার পর দেখা গিয়েছে অর্পিতার নামে ৩১টি জীবন বীমা করা রয়েছে। তবে বিষয়টা অন্য জায়গায়, এই সমস্ত জীবন বীমার নমিনি কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই। তার পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ঘেটে দেখা গিয়েছে, অর্পিতার বীমা সংক্রান্ত মেসেজ রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীর ফোনে। হঠাৎ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিমা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তিনি আগে থেকেই জানতেন।
এমনকি বীমার কাগজপত্র যোগাযোগের নম্বর হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত নম্বর দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন ইডি আইনজীবী। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আরো গভীরভাবে জড়াতে শুরু করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।