হামলার স্বীকার হন বুকারজয়ী লেখক সালমান রুশদি। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন। তিনি কথা বলতে পারছেন না এবং তিনি একটি চোখও হারাতে পারেন। শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তার পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। ২৪ বছর বয়সী হামলাকারীর নাম হাদি মাতার।
শনিবার সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া যায়।
নিউইয়র্ক পুলিশ বলছে, ওই যুবক অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে উঠে সালমান রুশদিকে কোপাতে শুরু করে। মাত্র ২০ সেকেন্ডে’ ১০ থেকে ১৫ বার ছুরিকাঘাত করেছিলো হাদি।
প্রাথমিক তদন্তে নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানতে পেরেছে, ইসলাম ধর্মাবলম্বী হাদি শিয়া সম্প্রদায়ের। জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায় হলেও সে ইরানি বংশোদ্ভূত। শিয়া কট্টরপন্থায় বিশ্বাসী হাদির আনুগত্য রয়েছে ইরানের ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড’-এর প্রতি। তিনি সরাসরি কোনও কট্টরপন্থী সংগঠনের সদস্য কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, বিতর্কিত উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার পর ১৯৮৯ সালে রুশদিকে খুনের ফতোয়া জারি করেছিলেন ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আল খোমেইনি। শুক্রবার সেটাই প্রায় কার্যকর করে ফেলেছিলেন হাদি।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা হাদি একাই রুশদিকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে কেন বা কী উদ্দেশ্য নিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে সে বিষয়ে এখনও জানায়নি পুলিশ। অনুষ্ঠানস্থলে পাওয়া একটি ব্যাকপ্যাক ও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস অনুষ্ঠানের প্রবেশপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া প্রবেশপত্রটি ছিল ফেয়ারভিউর একটি ঠিকানার।
শুক্রবার রাতে হাদির সেই ঠিকানায় তল্লাশি চালায় মার্কিন গোয়েন্দাসংস্থা এফবিআই। সেখানে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি। হাদি ভুয়া নথিপত্রের সাহায্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়েছিলেন বলেও প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
রুশদিকে হামলার দায়ে হাদি মাতারকে গ্রেপ্তার হলেও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।