Taiwan: চীনের নতুন শ্বেতপত্র তাইওয়ান নিয়ে

Published By: Khabar India Online | Published On:

মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরকে কেন্দ্র করে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই বুধবার তাইওয়ান নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করলো চীন।

চীন ইঙ্গিত দিয়েছে, প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে গোটা ভূখণ্ড দখল করবে তারা। সেই সঙ্গেই কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে চীন জানায়, তাইওয়ান ভূখণ্ডে কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম তারা মেনে নেবে না।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নতুন শ্বেতপত্রে বেইজিং জানিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে পুনর্মিলনে বিশ্বাসী। তাইওয়ানের ভিতরে তৃতীয় পক্ষের কোনো ধরনের উস্কানি বা বিচ্ছিন্নতবাদী আচরণ বরদাস্ত করবে না চীন। প্রয়োজনে তাইওয়ান অধিগ্রহণ করার পরে সেখানে সামরিক বাহিনী পাঠাবে তারা। যা আগের শ্বেতপত্রগুলোর প্রতিশ্রুতির বিপরীত।

আরও পড়ুন -  Britney Married: বিয়ে করলেন ব্রিটনি, স্যাম আসগারিকেই

 আগে ১৯৯৩ ও ২০০০ সালে প্রকাশিত শ্বেতপত্রে চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো হংকংয়ের মতো তাইওয়ানের ক্ষেত্রেও ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ মেনে চলবে তারা। কোনো দিন চীনের সঙ্গে তাইওয়ান দখল করলেও সেখানে স্বশাসিত সরকার থাকবে এবং চীনের কোনো সামরিক বাহিনী তাওইয়ান ভূখণ্ডে ঢুকবে না। কিন্তু মার্কিন হাউস অব স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসলো চীন।

আরও পড়ুন -  Joe Biden: মর্মাহত জো বাইডেন, ট্রেন দুর্ঘটনায়

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, তাইওয়ান ভূখণ্ড আর তার আশপাশের এলাকায় ভবিষ্যতেও কড়া নজরদারি জারি রাখবে তারা। চলবে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণমূলক কার্যকলাপও। বেইজিংয়ের বক্তব্য, নিজেদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে সব রকম প্রস্তুতি তারা সেরে রাখছে।

আরও পড়ুন -  আইনজীবী আক্রান্ত ঘটনায় রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ

 তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার প্রকাশিত শ্বেতপত্রে বেইজিংয়ের প্রস্তাবিত ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ মডেল প্রত্যাখ্যান করেছে স্বশাসিত দেশটি।

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোয়ান ওউ তাইপেতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শুধুমাত্র তাইওয়ানের জনগণই এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। ওউ অভিযোগ করেন, মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরকে তাইওয়ানের জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য এবং নতুন অস্থিরতা তৈরি করার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে চীন।