Human Body: বৃষ্টির জল উপকারিতা মানবদেহে

Published By: Khabar India Online | Published On:

বৃষ্টিতে ভেজা নিয়ে বড়দের বকুনি শুনতে হয়। বৃষ্টিতে কিছুটা সময় ভিজতে ইচ্ছে করে সবারই। বর্ষা মানেই হাঁচি, কাশি, সর্দি এবং জ্বর। প্রচলিত ধারণা আমাদের। জানেন কি? বর্ষাই হয়ে উঠতে পারে রোগমুক্তির পথ।

অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণা রিপোর্টের দাবি, বৃষ্টির জল পান করা সবচেয়ে নিরাপদ। মাটি অথবা পাথরে থাকা মিনারেলস আর বর্জ্য, বৃষ্টির জলে থাকে না। বৃষ্টির জল পানে উপকারিতা দেখছেন বিজ্ঞানীরা।

  • হজম শক্তি বাড়ায়।  বৃষ্টির জলেতে থাকে অ্যালকালাইন pH যা অ্যাসিডিটি কমায়, হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এই অ্যালকালাইন pH ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রুখে। ক্যান্সার রোগীদেরে ক্ষেত্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে বৃষ্টির জল।
  • কানের সমস্যা কমায়। বৃষ্টির জলে আরেকটি অন্যতম কার্যকারিতা হলো কানের সমস্যা দূর করা। কানের ব্যথা ও ইনফেকশন দূর করতে উপকারী।
  • রাসায়নিক মুক্ত জল। ট্যাপের জল জীবাণুমুক্ত করতে ক্লোরিন ব্যবহার করা হয়। ফ্লোরাইড আসে মাটির নিচ থেকে। বেশি মাত্রায় ক্লোরিন বা ফ্লোরাইড পেটে গেলে গ্যাসট্রাইটিস এবং মাথা ব্যথার সমস্যা বাড়ে। বৃষ্টির জলেতে ফ্লোরাইড বা ক্লোরিন কিছুই থাকে না।
  • জ্বালা ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে। বৃষ্টির জলে কোষে জমে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে সাফ করে দেয়। ত্বকের জ্বালাও দূর হয়।
  • বৃষ্টির জলে চুল ভালো থাকে। বৃষ্টির জলেতে আছে প্রাকৃতিক অ্যালকাইন, যা মাথার ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ময়লা দূর করে। চুলের গোড়া মজবুত হয়। বৃষ্টির জল ব্যবহারের ফলে চুলের রুক্ষতা কমে এবং অধিক উজ্জ্বল দেখায়।
  • ত্বকের জন্য খুব ভালো। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুন্দর সুস্থ ত্বক পেতে, বৃষ্টির জল অত্যন্ত উপযোগী। সুগন্ধি সাবানে থাকে অ্যাসিডিক pH যা ত্বককে রুক্ষ ও প্রাণহীন করে দেয়।
আরও পড়ুন -  ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, সতর্ক করল হাওয়া অফিস, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে

বৃষ্টির সময় পরিবেশে যে ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে তাকে বলা হয় পেট্রিকোর। এটি মানুষকে আরও চনমনে করে তুলতে সহায়তা করে। বৃষ্টির জলে অনেক উপকারিতা থাকলেও ১০ থেকে ১২ মিনিটের বেশি সময় বৃষ্টিতে ভেজা ঠিক নয়।

আরও পড়ুন -  দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হবে, জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর